সমুদ্রনির্ভর অর্থনীতিতে এগিয়ে যাচ্ছে অনেক দেশ। যেমন ইন্দোনেশিয়া। দেশটির জাতীয় অর্থনীতির সিংহভাগই সমুদ্রনির্ভর। সম্প্রতি তারা সুনীল অর্থনীতিকে কেন্দ্র করে আরও কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, যেগুলো বাস্তবায়িত হলে সমুদ্র থেকে আহরিত সম্পদের মূল্যমান ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় বাজেটের ১০ গুণ হবে। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়া সমুদ্রসম্পদ থেকে বর্তমানে প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ডলার আয় করছে। তারা ২০২৫ সাল নাগাদ এ আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরেছে ১০০ বিলিয়ন ডলার।
মিয়ানমার ও ভারত তাদের সমুদ্র এলাকা থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস ও তেল অনুসন্ধান ও উত্তোলনের কাজ করছে। ফ্রান্স বড় ধরনের ব্যারাজ নির্মাণ করে এর রান্সটাইটেল পাওয়ার স্টেশন থেকে ২৪৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। একইভাবে দক্ষিণ কোরিয়ার সিহ্হাটাইডাল পাওয়ার প্লান্ট থেকে ২৫৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার জিয়াংজিয়া, জিনডুউলডলমক, গাংওয়া আইল্যান্ড এবং একই দ্বীপের অন্যপাশে টাইডাল পাওয়ার প্লান্ট স্থাপনের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে।
ভারতের গুজরাটে ৫০ মেগাওয়াট টাইডাল পাওয়ার প্লান্ট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে এবং এ প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, কানাডা, যুক্তরাজ্যসহ যেসব দেশে সমুদ্র উপকূল রয়েছে তারাও এ পদ্ধতি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে এবং নতুন নতুন প্রকল্প স্থাপন করে চলেছে। আমাদের দেশের বিভিন্ন জায়গায় এ ধরনের সুবিধা বিদ্যমান থাকলেও এখনো পর্যন্ত সেভাবে বিষয়টি ভাবা হয়নি।
শুধু মিয়ানমার নয় ভারতও সমুদ্রের ঢেউকে ব্যবহার করেও প্রচুর পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। দেশটিতে মোট দুই লাখ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়। এর মধ্যে ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসে সমুদ্রের ঢেউ এবং বাতাস ব্যবহার করে।