শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনার মধ্যেই বিরল ‘মাংকিপক্স’

করোনার মধ্যেই বিরল ‘মাংকিপক্স’

দ্রুত ছড়াচ্ছে অস্ট্রেলিয়া-আমেরিকা-কানাডা-ইউরোপে

করোনা মহামারীর মধ্যেই নতুন করে ছড়িয়ে পড়ছে বিরল রোগ ‘মাংকিপক্স’। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা,ইতালি, সুইডেন, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া,  স্পেন, পর্তুগাল এবং ব্রিটেনে ছড়িয়ে পড়েছে এ রোগ। আফ্রিকা থেকে রোগটি  ছড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।  বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার এসব দেশে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের খবর নিশ্চিত করা হয়।

গত ৭ মে যুক্তরাজ্যে প্রথম মাংকিপক্স আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হন। সম্প্রতি নাইজেরিয়া ভ্রমণ করেছিলেন তিনি। পরে তার মাধ্যমে এটি আরও ছড়িয়েছে বলে জানায় যুক্তরাজ্যের হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি (ইউকেএইচএসএ)। ইতিমধ্যে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে মাঙ্কিপক্স ছড়িয়ে পড়েছে। গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন ও পর্তুগালে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। কানাডায় ১৩ জনের শরীরে এ রোগ শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া পর্তুগালে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচ জন ও ব্রিটেনে ৯ জন।

মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার দুর্গম এলাকায় এটি খুব পরিচিত রোগ। তবে পৃথিবীর অন্যান্য প্রান্তে এ রোগের উপস্থিতি বিরল। পৃথিবীর অন্যান্য স্থানে যারা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের বেশির ভাগই মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকা ভ্রমণ করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই ভাইরাসের প্রভাব বেশ মৃদু। এর বৈশিষ্ট্য জল বসন্তের মতোই এবং কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেন।

মাংকিপক্সের প্রাথমিক উপসর্গ হচ্ছে- জ্বর, মাথাব্যথা, হাড়ের জয়েন্ট এবং মাংসপেশিতে ব্যথা এবং অবসাদ। জ্বর শুরু হওয়ার পর দেহে গুটি দেখা দেয়। এসব গুটি শুরুতে দেখা দেয় মুখে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে হাত এবং পায়ের পাতাসহ দেহের সব জায়গায়। এই গুটির জন্য রোগীর দেহে চুলকানি হয়। পরে গুটি থেকে ক্ষত দেখা দেয়। গুটি বসন্তের মতোই রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠলেও দেহে এসব ক্ষত চিহ্ন রয়ে যায়।

আরও পড়ুনঃ  ঠাকুরগাঁওয়ে লিচু গাছে আম ধরেছে!

সংক্রমিত রোগীর ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শ থেকে এই ভাইরাস ছড়ায়। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে, ত্বকের ক্ষত থেকে এবং নাক, মুখ ও চোখের ভেতর দিয়ে এই ভাইরাস মানুষের দেহে প্রবেশ করে।

এ রোগের কোন চিকিৎসা নেই। তবে যে কোনো প্রাদুর্ভাবের মতোই উপযুক্ত পদক্ষেপ নিয়ে এর প্রকোপ রোধ করা যায়। গুটি বসন্তের টিকা ৮৫ ভাগ কার্যকর বলে দেখা গেছে। মাংকিপক্সের জন্য এখন এই টিকাই ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় স্পেন কর্তৃপক্ষ গুটিবসন্তের টিকা কিনেছে। গুটিবসন্তের মতো একই ভাইরাস পরিবারের সদস্য মাংকিপক্স।

ইংল্যান্ডের পাবলিক হেলথ বিভাগের কর্মকর্তা ড. নিক ফিন বলছেন মাংকিপক্সের ভাইরাস খুব সহজে মানুষের মধ্যে ছড়াতে পারে না। তাই এখনই  মাংকিপক্স নিয়ে শঙ্কার কিছু নেই।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন