শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টানাবৃষ্টিতে ডুবলো বোরো চাষির স্বপ্ন

টানাবৃষ্টিতে ডুবলো বোরো চাষির স্বপ্ন

গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে শত শত বিঘা জমির আধাপাকা বোরো ধান। এসব ইউনিয়নের নদী অববাহিকায় এবং মরাখাল সংলগ্ন এলাকার জলমগ্ন থাকা পাকা ধানগুলোর অর্ধেকটা এখন চিটা হয়ে গেছে। বিপাকে পড়ে বাধ্য হয়েই সেই আধাপাকা ধান কেটে ঘরে তুলছেন চাষিরা।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। এরমধ্যে সদর উপজেলায় টার্গেট অর্জিত হয়েছে ১৩ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে। ইতিমধ্যে সদরে ২৫ ভাগ ধান কর্তন করা হয়েছে। বাকি ধানগুলো এখনো জমিতে পড়ে রয়েছে। এসব ধান নিয়ে চিন্তিত রয়েছে কৃষক। গত তিনদিন অফিস বন্ধ থাকায় এখন পর্যন্ত কৃষি বিভাগের কাছে বোরো ধান জলমগ্ন হওয়ার কোনো পরিসংখ্যান নেই।

সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের শুলকুর বাজার এলাকার কৃষক আবেদ আলী জানান, গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে আমার আড়াই একর আধাপাকা ধান তলিয়ে গেছে। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে শ্রমিক সংকট। অতিরিক্ত দামে শ্রমিক নিয়ে ধান কাটছেন তিনি। একই এলাকার ছত্রপূর গ্রামের কৃষক আবেদ আলী ও বাজার পাড়ার হাবিবুর রহমান জানান, অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে তলিয়ে যাওয়া ধানগুলোর অর্ধেকটা চিটা হয়ে গেছে। এখন দুই মণের মধ্যে এক মণ পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। শুধুমাত্রা খড়ের জন্য ধানগুলো কাটা হচ্ছে।

সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন মিয়া জানান, টানাবৃষ্টির কারণে আমার পাঁচগাছী ইউনিয়নের অধিকাংশ কাচা-পাকাধান তলিয়ে গেছে। কৃষকরা ধান উদ্ধারে বাধ্য হয়ে কাচাপাকা ধান কেটে নিয়ে যাচ্ছেন।

আরও পড়ুনঃ  রাজধানীর সড়কে যান চলাচল বেড়েছে

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যাবেক্ষণাগার কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর সবুর মিয়া জানান, আশনির প্রভাবে সারা দেশের ন্যায় কুড়িগ্রামেও বৃষ্টিপাত পরিলক্ষিত হচ্ছে। গত তিনদিনে ২০৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামি ২/৩ দিন উত্তরাঞ্চলে বজ্রসহ ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন