শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গরু চুরিতে দিশেহারা খামারি

গরু চুরিতে দিশেহারা খামারি
  • ১০ দিনে গোয়াল থেকে ১৩টি গরু চুরি

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে গরু চুরির মহোৎসব চলছে। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও গরু চুরির খবর পাওয়া যাচ্ছে। উপজেলায় ১০ দিনের ব্যবধানে পৃথক পৃথক দু’টি বাড়ি থেকে ১৩টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। চুরি হওয়া গরু গুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে ৮ লাখ টাকা বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সদস্যরা দাবি করেছেন। গত ১৫ মে রোববার কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বালিগাঁও গ্রামের পাশাপাশি দু’টি বাড়ি থেকে একই রাতে ৬টি গরু এবং গত ৬ মে শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বালিগাঁও গ্রাম এবং পতনঊষার ইউনিয়নের দরগাহপুর গ্রামের বখসের বাড়ি থেকে একই রাতে ৭টি গরু চুরি হয়।

জানা যায়, গত ১৫ মে দিবাগত রাতে উপজেলার কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বালিগাঁও গ্রামের পাশাপাশি দু’টি বাড়ি থেকে একই রাতে ৬টি গরু চুরির ঘটনা ঘটে। গরুর মালিক জমসেদ মিয়া ও ফজলুর রহমান জানান, রাতে তাদের পৃথক বাড়ির গোয়াল ঘরে গরুগুলো বেঁধে রাখেন। সোমবার ভোরে ঘুম থেকে উঠে দেখেন তাদের গোয়াল ঘর থেকে গরুগুলো চুরি হয়ে গেছে। জমসেদ মিয়ার বড় সাইজের ২টি গরু ও ফজলুর রহমানের ছোটবড় ৪টি গরু চুরি হয়েছে যার বাজার মূল্য প্রায় ৫ লাখ টাকা হবে। গরু চুরি যাওয়ার ঘটনায় ফজলুর রহমানের ভাই আজাদুর রহমান কমলগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়রি করেন।

এদিকে গত ৬ মে দিবাগত রাতে উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের দরগাহপুর গ্রামের নিজামুল বখস ও তাঁর চাচা মুমিন বখস এর বাড়ি থেকে একই রাতে ৭টি গরু চুরি হয়। ক্ষতিগ্রস্ত নিজামুল বখস ও তাঁর চাচা মুমিন বখস জানান, চুরি হওয়া আমাদের গরু গুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা হবে। এ ব্যাপারে ঘটনার পর দিন তারা শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়িকে অবহিত করেন। শমসেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, চুরির ঘটনা শুনে সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছি। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।

আরও পড়ুনঃ  ভুতুরে বিদ্যুৎ বিল: ডিপিডিসির ৪ কর্মকর্তা বরখাস্ত

কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়ারদৌস হাসান বলেন, এ ব্যাপারে সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে। ঘটনাটির তদন্তের জন্য এসআই হারুনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন