শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই পশু জবাই, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই পশু জবাই, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

নওগাঁর বদলগাছীতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই চলছে পশু জবাই। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। ভোক্তাদের অভিযোগ, প্রাণিসম্পদ বিভাগের চিকিৎসকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ছাড়পত্র ছাড়াই উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন হাট-বাজারগুলোতে অবাধে গবাদি পশু জবাই করে মাংস বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, বদলগাছী উপজেলার কোলা বাজার, গোবরচাপা হাট ভান্ডারপুর বাজার ও বদলগাছী সদরে সপ্তাহের শনিবার, শুক্রবার  ও বৃহস্পতিবার  ৩ থেকে ৪টি গরু জবাই করা হয়।  জবাইকৃত পশুর শরীরে কোনো রোগবালাই রয়েছে কিনা এমন কোনো ধারণাই রাখেন না ক্রেতা বিক্রেতা উভয়েই। সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আইন প্রয়োগের দায়িত্ব প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট বদলগাছী কর্তৃপক্ষের। তবে এ ব্যাপারে তাদের কোনো তৎপরতা নেই বলে জানিয়েছেন বিক্রতারা ও সাধারণ মানুষ।

জানা যায়, বদলগাছী সদর ছাড়াও  কোলাবাজার, গোবরচাপা  বাজার, পাহার পুর বাজার, মিঠাপুর  বাজারে জবাই করা হয় গরু, ছাগল ও ভেড়া। ক্রেতা তোজাম্মেল  জামিল বলেন, আমরা তো বিশ্বাসের ওপর নির্ভর করেই মাংস কিনছি। কোনো ভেজাল থাকলে আমাদের জানার কথা নয়। তবে সব বিষয়ে ভেটেরিনারি হাসপাতাল দেখাশোনা করলে আমাদের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি কমে আসবে। তিনি আরও বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এ ধরনের কোনো তদারকি না থাকায়, সাধারণ জনগণ মরা গবাদিপশু, নাকি রোগাক্রান্ত গবাদিপশুর মাংস খাচ্ছে তা বুঝার কোনো উপায় নেই। পাশাপাশি ধর্মীয় নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে পশুটি জবাই করা হচ্ছে কিনা, সেটাও সকলের অগোচরে।

মাংস ব্যবসায়ী  খাইরুল বলেন, আমরা অনেক দিন থেকে গরুর মাংস বিক্রি করে আসছি। গরুর জবাই করার জন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় না। আগে পশু হাসপাতাল থেকে খোঁজ রাখলেও এখন আর কেউ খোঁজখবর রাখেন না। মাঝে মাঝে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে লোক আসে খোঁজ খবর নিতো।

আরও পড়ুনঃ  চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে গেল পণ্যবাহী বিশেষ ট্রেন

কোলা ইউপির আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান বলেন, পশু জবাই করার পূর্ব পর্যন্ত পশুটি সুস্থ কিনা, রোগাক্রান্ত কিনা, পশুটি গর্ভবর্তী কিনা, এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার দায়িত্ব উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বা চিকিৎসকের। স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের দায়িত্ব পশু জবাই এর পরবর্তীতে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে বিক্রি হচ্ছে কিনা এবং ওজনের কারচুপি করছে কিনা, সেটা দেখ শুনার দায়িত্ব কৃর্তপক্ষের কোলা বাজারের আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক মাস্টার ও চেয়াম্যান শাহিনুর ইসলাম স্বপন বলেন। পশুর চিকিৎসা ছাড়াই নির্বিঘ্নে পশু জবাই হয়। তবে অসুস্থ গবাদিপশুর মাংস খাওয়া অবশ্যই জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন