শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদের আনন্দ প্রাণে প্রাণে

ঈদের আনন্দ প্রাণে প্রাণে

আজ চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক—

  • করোনার ভয়াবহতা কেটে উৎসবমুখরতা

এক মাস সিয়াম সাধনা শেষে আসে খুশির ঈদ। নিয়ম অনুযায়ী শাওয়াল মাসের প্রথমদিন ঈদ উদযাপন করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। পবিত্র শাওয়াল মাসের তারিখ নির্ধারণের লক্ষ্যে আজ রবিবার সন্ধ্যায় ৭টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে বৈঠকে বসবে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। এতে সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি ও ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। সভায় ১৪৪৩ হিজরি সনের শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা করে ঈদুল ফিতর উদযাপনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে।

গতকাল শনিবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। আজ বাংলাদেশের আকাশে শাওয়ালের চাঁদ দেখা গেলে পরের দিন সোমবার (২ মে) ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। আর বাংলাদেশের কোথাও চাঁদ দেখা না গেলে সোমবার রমজান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। সেক্ষেত্রে ঈদ উদযাপিত হবে মঙ্গলবার (৩ মে)।

বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭ টেলিফোন নম্বরে ফোন করে এবং ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১ নম্বরে ফ্যাক্স করে বা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

এদিকে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সকাল ৭টা, ৮টা, ৯টা, ১০টা ও ১০টা ৪৫ মিনিটে বায়তুল মোকাররমে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত হবে সকাল ৭টায়। এতে ইমাম থাকবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান। মুকাব্বির থাকবেন মুয়াজ্জিন হাফেজ কারি কাজী মাসুদুর রহমান। আর দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমাম থাকবেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী নদভী। মুকাব্বির থাকবেন মুয়াজ্জিন হাফেজ কারি হাবিবুর রহমান মেশকাত।

আরও পড়ুনঃ  দেশের সব বন্দরেই থাকবে ইউএস বাংলার ফ্লাইট

করোনায় দুই বছর বন্ধ থাকলেও এবার এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঈদগাহ ময়দান দিনাজপুরের গোর-এ শহীদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। সুষ্ঠুভাবে নামাজ আদায়ে ময়দানের সংস্কার কাজ এখন শেষের দিকে। দেশের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাতে এবার ইমামতি করবেন দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতাল জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শামসুল হক কাসেমি। আর জামাতের সময় দেওয়া হয়েছে সকাল ৯টায়। ময়দানের সার্বিক নিারপত্তায় থাকবে তিন স্তরের ব্যবস্থাপনা।

ঈদ জামাতে পাঁচ থেকে ছয় লাখ মানুষ একসঙ্গে নামাজ আদায় করেছেন। এবারও ছয় লাখের বেশি মানুষের সমাগম হবে বলে আশা করছেন আয়োজকরা। তবে ময়দানে ১০ লাখ মানুষের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। মাঠে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য স্থাপিত হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। ২০১৭ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত এই মাঠে ঈদের ছয়টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামাতগুলোতে যেমন নিরাপত্তা ছিল ঠিক সেই রকম বা তার চেয়েও বেশি নিরাপত্তা দিতে মাঠে কাজ করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

দিনাজপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গোর-এ শহীদ বড় ময়দানের আয়তন প্রায় ২২ একর। ২০১৭ সালে নির্মিত ৫২ গম্বুজের ঈদগাহ মিনার তৈরিতে খরচ হয়েছে তিন কোটি ৮০ লাখ টাকা। ঈদগাহ মাঠটি ঐতিহাসিক নিদর্শন ও মনোরম সৌন্দর্য ও নান্দনিক হিসেবে নির্মাণ করা হয়। ৫০ গম্বুজের দুই ধারে ৬০ ফুট করে দুটি মিনার, মাঝের দুটি মিনার ৫০ ফুট করে। ঈদগাহ মাঠের মিনারের প্রথম গম্বুজ অর্থাৎ মেহেরাব (যেখানে ইমাম দাঁড়াবেন) তার উচ্চতা ৪৭ ফুট। এরসঙ্গে রয়েছে আরও ৪৯টি গম্বুজ। এছাড়া ৫১৬ ফুট লম্বায় ৩২টি আর্চ নির্মাণ করা হয়েছে। পুরো মিনার সিরামিকের তৈরি। প্রতিটি গম্বুজ ও মিনারে রয়েছে বৈদ্যুতিক লাইটিং। রাত হলে ঈদগাহ মিনার আলোকিত হয়ে উঠে।

সংবাদটি শেয়ার করুন