শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সঠিক তদন্তে অপরাধীদের বের করার দাবি

সঠিক তদন্তে অপরাধীদের বের করার দাবি

নিউমার্কেট রণক্ষেত্র-

নিউমার্কেটে ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় উসকানি দেয়ার অভিযোগে তিনটি মামলা করেছে পুলিশ। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে বিএনপির ২৪ নেতাকর্মীকে। এছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে এক হাজার ৪০০ জনকে। ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের দাবি, কোনো রাজনৈতিক তদন্ত নয়, সঠিক তদন্ত করে অপরাধীদের বের করতে হবে।

মামলায় প্রধান আসামি করা হয় নিউমার্কেট থানা বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন সরদারকে। পরে গত শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে মোহাম্মদপুর টাউন হল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে নিউমার্কেট থানা থেকে মকবুলকে ঢাকার বিচারিক আদালতে নেওয়া হয়। ওই সময়ে ৭ দিনের রিমান্ডে চেয়ে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। মহানগর হাকিম মামুনুর রশিদের আদালতে মকবুলের রিমান্ড আবেদনের শুনানি হয়। শুনানিতে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।

এজাহারে থাকা আসামিদের মধ্যে টিপু দীর্ঘদিন ধরে লন্ডনে রয়েছেন। এছাড়া জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারী ওই এলাকায় এখন আর ব্যবসা করেন না।

নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শ ম কাইয়ুম জানান, গোয়েন্দা তথ্য এবং তদন্তের মাধ্যমে এই ২৪ জনের নাম উঠে এসেছে। এখনও তদন্ত চলছে। পুরোপুরি তদন্ত হলে নিশ্চিত করে বলা যাবে এই ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে উল্লেখ করে তিনি দাবি করেন, তারা সঠিকভাবেই তদন্ত করছেন। ওসির দাবি, মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে যাদের কারণে এই ঘটনা, তাদের নামও আছে। এসব মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ৭ জুন নির্ধারণ করেছেন আদালত।

আরও পড়ুনঃ  বেঁচে ফিরেছেন তারা

এদিকে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের পাশাপাশি ঘটনায় দায়ী দুই ফাস্টফুডের কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়েছে নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি। ওই ঘটনার পর থেকেই দোকান দুটি বন্ধ রয়েছে।

১৭ এপ্রিল রাত ১২টার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এরপর রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও পরিদন সকাল ১০টার পর থেকে ফের দফায় দফায় সংঘর্ষ শুরু হয়। যা চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। এতে উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েক জনের অবস্থা গুরুতর। সংঘর্ষে একজন ডেলিভারিম্যান ও এক দোকান কর্মচারীর মৃত্যু হয়। সংঘর্ষের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আহত হয়েছিলেন ১৫ জনের মতো সাংবাদিক।

সংবাদটি শেয়ার করুন