কোম্পানীগঞ্জে ২৯ বীরনিবাস নির্মাণ
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ২৯টি বীর নিবাসের ট্রেন্ডার ড্রপিংয়ে কাদের মির্জার অনুসারীদের বাধার কারণে টেন্ডার বাক্সে জমা দিতে পারেনি ঠিকাদাররা। এসময় কয়েকজন ড্রপিং করতে এসে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ভবন চত্বরে মির্জা কাদের অনুসারী ব্যাতিত অন্যকোনো ঠিকাদার বীর নিবাসের ট্রেন্ডার জমা দিতে পারেনি। গত বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ছিল টেন্ডার ড্রপিংয়ের শেষ সময়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগি ঠিকাদারদের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বীর নিবাস নির্মানের প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। ওই প্রকল্প আওতায় উপজেলার ২৯জন অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য ২৯টি বীর নিবাস নির্মাণের টেন্ডার প্রক্রিয়ার দায়িত্ব ছিল, উপজেলা নির্বাহী অফিস ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের ওপর। টেন্ডার ড্রপিং নিশ্চিত করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসের বারান্দায় শান্তি-শৃৃংখলা রক্ষার্থে পুলিশ দায়িত্ব পালন করে। তবে টেন্ডার জমা দিতে আসা বাধাপ্রাপ্ত ও ভুক্তভোগি ঠিকাদারদের নিরাপত্তা দিতে পারেনি ওই পুলিশ ও প্রশাসন এমন অভিযোগ ঠিকাদারদের।
উপজেলা পরিষদের মেইন গেইট, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে প্রবেশ মুখের গেইটসহ ৩টি স্তরে অবস্থান করে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ছেলে তাশিক মির্জাসহ তার অনুসারীরা। এসময় ট্রেন্ডার ড্রপ করতে এসে বাধার মুখে পড়েন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিনের ভাগনে সামছুদ্দিন নোমান, মুছাপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের নেতা ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার আবদুর রহিম বাবুল, চরকাঁকড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হানিফ সবুজ। পরবর্তীতে চেয়ারম্যান হানিফ সবুজ চাতুর্যতার সঙ্গে এলজিইডি’র (স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর) পিয়ন রহিমা খাতুনকে দিয়ে টেন্ডার সিডিউল বাক্সে ড্রপ করতে সক্ষম হন। এ সংবাদ মেয়র কাদের মির্জা গ্রুপ জেনে যাওয়ার পর এলজিইডি অফিসের ওই মহিলা পিয়ন রহিমা খাতুনকে মেয়র কাদের মির্জার অনুসারীরা শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত, শ্লীলতাহানী ও অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তিভোগি ঠিকাদাররা স্থানীয় সাংবাদিকদের ওপরও চরমভাবে ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করে বলেন, পুলিশ ও প্রশাসনের সস্মুখে প্রকাশ্য দিবালোকে ঠিকাদাররা এ ধরণের বাধা ও নাজেহালের শিকার হলেও সাংবাদিকদের লেখনিতে তা আসেনা। এটা দেশ এবং জাতির জন্য খুবই দুঃখজনক। ঠিকাদাররা প্রশাসনের দ্বৈত রহস্যজনক ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জোবায়ের হোসেন জানান, মোট ২৮টি সিডিউল বিক্রি করা হলে শেষ দিন পর্যন্ত ৬টি জমা হয়েছে। টেন্ডার বক্সের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন ছিলো।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোরশেদ আলম জানান, সিডিউল জমা দিতে কাউকে বাধা দেওয়া হয়েছে এমন কোনো অভিযোগ আমি পাইনি।