শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাটার সময়েই ডুবলো ধান

কাটার সময়েই ডুবলো ধান

ফের তিস্তায় ঢল

  • বন্যায় ভাসলো চাষির স্বপ্ন

অবিরাম বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরাঞ্চল এবং নিচু এলাকার বোরধানসহ নানাবিধ ফসলের ক্ষেত ডুবে গেছে। আধা পাকা ধানক্ষেত ডুবে যাওয়ায় কৃষকরা মাথায় হাত দিয়ে বসেছে।  

শেষ মুহূর্তে এসে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফসলের এ ক্ষতি কৃষকদের চরম হতাশাগ্রস্ত করে তুলেছে। বিশেষ করে নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর-ডোবা এবং নিচু এলাকার আধা পাকা ধানক্ষেত সমূহ হেলে পড়ে পানিতে ডুবে গেছে। অনেক ধানক্ষেত হাঁটু পানি জমে রয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত হতে শুক্রবার পর্যন্ত উপজেলার উপর দিয়ে অবিরাম বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তার পানি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। উজান থেকে দ্রুত পানি নেমে আসায় উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার নিচু এলাকা সমুহ প্লাবিত হয়ে পড়ছে। সে কারণে চরের বোরধানসহ পিঁয়াজ, বাদাম, মরিচ, গম, ভুট্টা, তরমুজ ক্ষেত ডুবে যাচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর সভায় ২৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোর ধানের চাষাবাদ হয়েছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী প্রায় ১০০ হেক্টর জমির ফসল ডুবে গেছে। তবে বেসরকারি হিসাব অনুযায়ী এর পরিমান অনেক বশি।

কাপাসিয়া ইউনিয়নের বাদামের চরের কৃষক আনছার আরী জানান, তিনি ৫ বিঘা জমিতে বোরধান চাষাবাদ করেছে। ইতিমধ্যে তার জমির ধান আধাপাঁকা হয়েছে। হঠাৎ অবিরাম বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে চরের মধ্যে পানি উঠে তার ধানক্ষেত ডুবে গেছে। তার দাবি রাতারাতি উজানের পানি নেমে এসে বোরক্ষেত সম্পন্নরুপে ডুবে যাবে। তিনি আরও বলেন শেষ মৌসুমে এসে এহেন ক্ষতি তার জন্য অনেক কষ্টকর হয়ে দাড়িছে।

আরও পড়ুনঃ  ‘চতুর্থ শিল্পযুগ উপযোগী শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠা অপরিহার্য’

হরিপুর ইউনিয়নের কাশিমবাজার এলাকার রফিকুল ইসলাম জানান, তিস্তার পানি হঠাৎ বৃদ্ধির কারনে চরাঞ্চলের পিয়াচ, মরিচ,বাদাম. গম, ভুট্টা, তরমুজসহ নানাবিধ মৌসুমী ফসলের ক্ষেত ডুবে গেছে। তিনি বলেন তার ১ বিঘা জমির পিঁয়াজ ক্ষেত শুক্রবার তিস্তার পানি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় ডুবে গেছে। এতে করে তার ২০ হাজার টাকা লোকসান হবে।

উপজেলা কৃষি অফিসার রাশিদুল করিব জানান, অবিরাম বর্ষণ, উজান থেকে নেমে আসা ঢল এবং কালবৈশাখী ঝড়ো হাওয়ায় নিচু এলাকার ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। উপজেলায় প্রায় ১০০ হেক্টার জমির বোরধান ক্ষেত পানিতে হেলে পড়ে ডুবে গেছে। পানি নেমে গেলে ফসলের তেমন ক্ষতি হবে না। প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের আসলে কিছু করার নাই।  

সংবাদটি শেয়ার করুন