শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইজারার নামে ফসলি জমি কাটছে ঠিকাদার

ইজারার নামে ফসলি জমি কাটছে ঠিকাদার
  • নিরব সৈয়দপুর পাউবো কর্তৃপক্ষ

নীলফামারী সদরের কচুকাটা ও কিশোরগঞ্জের পুটিমারী ও নিতাই ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে চাড়ালকাঠা নদী। এ নদীর খননকৃত বালু সরিয়ে নেয়ার ইজারার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও এক প্রভাবশালী ঠিকাদার ব্যক্তি মালিকানা জমির বালু ও মাটি রাতের আধারে কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরেও কোনো সুফল পায়নি ভুক্তভোগীরা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকারের নদী খনন কর্মসূচির আওতায় চাড়ালকাঠা নদীর খননকৃত বালু তুলে নেয়ার কার্যাদেশ পায় স্থানীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আনিছুর কনইন্সট্রাকশন। নদীর দুই পারে স্তুপকৃত বালু ইতিমধ্যে তুলে নিয়ে গেছে ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। উপরন্ত তার ইজারার মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধীকারী আনিসুর রহমান নদী তীরবর্তী এলাকার ব্যক্তি মালিকানাধীন তিন ফসলী জমির বালু ও মাটি অবাধে কেটে নিয়ে যাচ্ছে। জমির মালিকেরা বাধা দিলে তাদের উপর নেমে আসে নানান হুমকি ধামকি।

নীলফামারী সদরের কচুকাটা ইউনিয়নের ভরটপাড়া গ্রামের জমির মালিক সাজ্জাদ আলী জানান, নদী খননের সময় খননকৃত বালু রাখার জন্য ফসলি জমি ছেড়ে দেই। এখন ইজারাদার সব বালু নিয়ে যাওয়ার পরেও প্রভাবশালী ঠিকাদার আনিছুর রহমান অবৈধভাবে আবাদি জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। বাধা দিলে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকি দিচ্ছে।

অপর জমির মালিক ষাটোর্ধ আনজু আরা বলেন, আমার ছেলে-মেয়ে নাই। স্বামীও চলতে পারেনা। ওই টুকু জমি আবাদ করে সংসার চলে। সেটুকুও কেটে নিয়ে গেছে। আনিসুরের হাত পা ধরেছি, তবে দয়া করেনি। এখন ভিক্ষা ছাড়া আর কোনো উপায় নাই।

আরও পড়ুনঃ  ঘোড়াগাড়িই যেখানে একমাত্র যান!

এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠাণের স্বাত্বাধীকারী আনিছুর কন্সট্রাকশনের মালিক আনিছুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকোশলী কৃঞ্চ কমল রায় বলেন, গভীর করে খনন করা বা ফসলি জমি কেটে নেয়ার কোনো অনুমোদন নেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। তবে অভিযোগ সত্য হলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের জামানত বাতিল করে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন