পাহাড়ি ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর নারী ও তরুণীরা তাঁদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক রিনাই-রিসা ও বিভিন্ন গয়নাসহ নানান সাজে সেজেছে এসেছে। তরুণরা ধুতি ও তাদের ঐতিহ্যবাহী শাট পড়ে প্রস্তুত। পিছিয়ে নেই শিশুরাও। তারাও তাদের পোশাক পড়ে র্যালিতে অংশগ্রহণ করতে আসে। পুরো র্যালিটি যেন একটা রংধুন। তরুণীদের সাজে বিভিন্ন রঙে রাঙিয়ে তোলে র্যালিটিকে। ঐতিহ্যবাহী বৈসাবি উৎসব উদযাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করে বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ।
গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় খাগড়াছড়ি উপজেলা পরিষদ মাঠ থেকে বেলুন উড়িয়ে বর্ণাঢ্য র্যালি শুরু হয়। এর আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। তিনি বলেন, করোনার কারণে আমরা গত দুই বছর উৎসব পালন করতে পারেনি। এ আনন্দটা আমরা হাত ছাড়া করতে চাই না। তাই এ ধারাবাহিকতায় পাহাড়ে উৎসব শুরু হয়েছে র্যালির মধ্যেদিয়ে।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু বলেন, করোনার কারণে আমরা দুই বছর বৈসাবি উৎসব পালন করতে পারিনি। দুই বছর পর বৈসাবি উৎসব চলছে। আমরা সবাই আনন্দ করব। আমাদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল আজিজ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী, জেলা পরিষদের সদস্য ও মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদীকা শাহীনা আক্তার, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শানে আলম, সদর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজীৎ রায় দাশসহ বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদের নেতারা।
এদিকে বিভিন্ন উপজেলা থেকে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠির মানুষরা র্যালিতে অংশগ্রহণ করে। জেলা পরিষদ থেকে র্যালি শুরু করে টাউনহলে গিয়ে শেষ হয়। র্যালিতে ঐতিহ্যবাহী বাদযন্ত্রের তালে তালে তরুণী ও তরুণরা নেচে-গেয়ে পুরো সড়কে মাতিয়ে রাখেন। পরে ঐতিহ্যবাহী গরয়া নৃত্য পরিবেশনার মাধ্যমে শেষ হয়।