শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্যহাতির তান্ডবে বোরো ফসল বিনষ্ট

বন্যহাতির তান্ডবে বোরো ফসল বিনষ্ট

প্রায় দুই যুগ ধরে ভারত থেকে নেমে আসা বন্যহাতি অব্যাহত তান্ডব চালিয়ে শেরপুরের গারো পাহাড়ে জানমালের ব্যাপক ক্ষতি করে আসছে। সরকারিভাবে ফসলের ক্ষতিপূরণ হিসেবে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও ক্ষতিপূরণ পেতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান।

নালিতাবাড়ী উপজেলার বারমারী সীমান্তের আন্ধারুপাড়া ও ডালুকোনা এলাকার পাহাড়ি ঢালে গত ৪ এপ্রিল রাতব্যাপী তান্ডব চালিয়ে বেশ কয়েকজন কৃষকের উঠতি বোরো ফসল খেয়ে ও পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করে দিয়েছে বন্যহাতির দল। এলাকার কৃষকদের অভিযোগ বোরো ফসল রক্ষায় হাতি তাড়াতে মশাল জ্বালানোর জন্য কেরোসিন তেল পাচ্ছেন না। তাই বন্যহাতির অব্যাহত তান্ডবে বোরো ফসল ঘরে তোলা নিয়ে আশংকা তাদের।

ক্ষতিগ্রস্ত উপজাতি কৃষক মিঃ লুইস নেংমিনজা বলেন, আমরা ফসল বাঁচতে হাতির সাথে আর কত যুদ্ধ করবো। আমার প্রায় ৩০ শতাংশ জমির ধানক্ষেত খেয়ে সাবার করে দিয়েছে। সরকারি ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য নিয়মানুযায়ী থানায় জিডি করার পর পুলিশ তদন্ত করে ক্ষতির পরিমাণ কম দেখানোয় ক্ষতিপূরণ পাইনি। তিনি আরো জানান, পুলিশ বলেছে ফসল ঘরে তোলার আগ পর্যন্ত হাতির দল বার বার তান্ডব চালাতে পারে। তাই ফসল কাটা শেষ হলে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দিবে। কিন্তু তার আগে ফসল রক্ষা করতে মশাল জ্বালিয়ে হাতি তাড়াতে কেরোসিন তেলের প্রয়োজন। তারা সরকারিভাবে কেরোসিন তেল সরবরাহের দাবি জানান। ওই এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত গরীব কৃষক লিটন মিয়া, মার্টিন মারাক, আবুল মিয়া, শাহাব উদ্দিন, হালিম উদ্দীন ও হাসমত আলী ক্ষতিপূরণ পাওয়ার দাবিও করেন।

আরও পড়ুনঃ  বন্দরে করোনায় নারীর মৃত্যু, রসুলবাগ লকডাউন

নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল বলেন, নিয়মানুযায়ী বন্যহাতির দ্বারা কোন কৃষক যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে ক্ষতিপূরণ পেতে ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ করে থানায় জিডি করতে হয়। থানায় জিডি করার পর তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ করে আমরা জিডি গ্রহন করে তার প্রতিবেদন দিচ্ছি।

এ বিষয়ে বন বিভাগের মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট ফরমে ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ করে ক্ষতিপূরণের আবেদন করার পর তদন্ত সাপেক্ষে কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে নালিতাবাড়ী উপজেলার পানিহাটা তাড়ানি, বুরুঙ্গা ও বাতকুচি এলাকার বেশ কয়েকজন কৃষককে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। এটি চলমান প্রক্রিয়া পর্যায়ক্রমে সকল ক্ষতিগ্রস্ত  কৃষককেই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন