শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাস্তা সংস্কার-পয়ঃনিষ্কাশনের দাবিতে সড়ক অবরোধ

রাস্তা সংস্কার-পয়ঃনিষ্কাশনের দাবিতে সড়ক অবরোধ

দিনাজপুরের চৌরঙ্গী মোড় থেকে টার্মিনাল-কালুর মোড় থেকে রেল বাজার ও রেল বাজার থেকে বিআরটিসি ডিপো সড়কটির বেহাল অবস্থা। গত এক দশকের এ রাস্তার কোনো সংস্কার ও পয়ঃনিস্কাশনের ব্যবস্থা না করায় এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। কাউন্সিলর কিংবা মেয়র এলাকাবাসীর দাবির কোন কর্ণপাত না করায় তারা ব্যরিকেট দিয়ে সড়ক ৪টি অবরোধ করে রেখেছে।

দিনাজপুর পৌরসভা প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হওয়ার প্রায় ৩২ বছর পার হলেও বাড়েনি  নাগরিক সেবা। দিন-দিন উন্নয়ন না হলেও পৌরবাসীর কষ্ট ও ভোগান্তি বেড়েই চলেছে। কোথাও কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া নেই।

গতকাল বুধবার সকাল রাস্তা মেরামত ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়নের দাবিতে শহরের কালুর মোড়ে ব্যরিকেট দিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে এলাকাবাসী। এতে রাস্তা দিয়ে পার হতে পারেনি কোনো যানবাহন, সাইকেল, মোটরসাইকেলও।

স্থানীয় সোহাগের স্ত্রী হাফেজা অভিযোগ করে বলেন, ড্রেন পরিস্কার না করার কারণে পুরো এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়েছে। মেয়রকে জানানোর পরও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। মেয়র আছে, মেয়রের দায়িত্ব কি?

স্থানীয় বাসিন্দা মোজাহার হোসেন বলেন, ময়লা পানির কারণে পায়ে হেঁটে রাস্তায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। স্কুল-কলেজ, পাবলিক লাইব্রেরি, মসজিদে প্রবেশের সময় ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শহর যেমন অপরিচ্ছন্ন হচ্ছে, তেমনি মানুষের শরীরেও বাসা বাধছে নানা রোগ।

বায়তুল আমান জামে মসজিদের ইমাম আসাদুজ্জামান বলেন, ড্রেন আছে পানি পয়ঃনিস্কাশনের ব্যবস্থা নেই। তাই আশপাশের বাড়ির পানি, বৃষ্টির পানিতে এ মোড়ে সারা বছরই জলাবদ্ধতা থাকে।

আরও পড়ুনঃ  দলীয় কোন্দলের অবসান চায় তৃণমূল

দোকানদার পারভেজ বলেন, রাস্তা বন্ধ থাকলে আমার ব্যবসার ক্ষতি জেনেও আমি সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ করছি। ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না করা পর্যন্ত অবরোধ চলবে।

সরজমিনে দেখা যায়, মির্জাপুর কালুর মোড়ে হোটেল, সেলুন, মুদিখানাসহ প্রায় ৩০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে এখানে ব্যবসা করতে পারছেনা ব্যবসায়ীরা। জলাবদ্ধ পানির দুর্গন্ধে দোকানে কিংবা হোটেলে কোনো কাষ্টমার নেই। অথচ তা দিয়েই চলে অনেকের পরিবার।

স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ড্রেনটির ব্যাপারে মেয়র সাহেব অনেক আগে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তিনি ড্রেনটি সংস্কার বা নির্মাণের কথা বলেছেন, তবে এখনো তা হয়নি। আমি ড্রেনটি নির্মাণের জন্য প্রকল্প দাখিল করেছি।

তবে ভোগান্তির বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য পৌর মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে একাধীকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন