শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেরিন অ্যাকুরিয়াম করার নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর

মেরিন অ্যাকুরিয়াম করার নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর

একনেকে ১২ প্রকল্প অনুমোদন—

  • নদীর বাঁধ নির্মাণে দ্রুতগতি

পর্যটক আকর্ষণে কক্সবাজারে পানির তলদেশে মেরিন অ্যাকুরিয়াম করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (বিওআরআই) দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে। প্রকল্পের প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৪৪ কোটি টাকা। প্রকল্পটি অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারে একটি ফিশ অ্যাকুরিয়াম তৈরি করতে বলেছেন।’

তাছাড়া একনেক সভায় অনুশাসনে প্রধানমন্ত্রী নদীর বাঁধ নির্মাণে দ্রুততার সঙ্গে কাজ করতে নির্দেশনা প্রদান করেন। বাঁধের একপ্রান্তে কাজ করতে করতে অন্যপ্রান্তে ভাঙ্গন ধরে যায়। সেজন্য  প্রধানমন্ত্রী দ্রুত একসঙ্গে কাজ শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।

একনেক সভায় ১২ হাজার ১৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ১২ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৭ হাজার ৯৯০ কোটি ১৪ লাখ টাকা, বৈদেশিক অর্থায়ন ৩ হাজার কোটি ৩৯ লাখ টাকা ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৫৯৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো- স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ৩৩৯৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা ব্যয়ে আরবান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সিটি গর্ভন্যান্স (ইউডিসিজি) প্রকল্প, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শিল্পকলা একাডেমি ও আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, মিঠামইন, কিশোরগঞ্জ প্রকল্প; ব্যয় হবে ৬৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।

আরও পড়ুনঃ  চট্টগ্রামের সাবেক সিভিল সার্জন কারাগারে

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ৪৪৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (২য় পর্যায়) প্রকল্প। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সরকারি শিশু পরিবার এবং ছোটমনি নিবাস হোস্টেল নির্মাণ/পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের ১ম সংশোধনী, ব্যয় হবে ৩৮৫ কোটি ২১ লাখ। প্রকল্পের ব্যয় বেড়েছে ৮৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ইরিগেশন ম্যানেজম্যান্ট ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্প, ব্যয় হবে ৫৬২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ১০৯৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে তজুমদ্দিন ও লালমোহন উপজেলায় উপকূলীয় বাঁধ পুনর্বাসন, নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও তীর সংরক্ষণ প্রকল্প (১ম পর্যায়)। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার সেচ ও নিস্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প, ব্যয় হবে ২০৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কিশোরগঞ্জ জেলার ১০টি উপজেলায় নদী তীর প্রতিরক্ষা কাজ, ওয়েভ প্রটেকশন এবং খাল পুনঃখনন প্রকল্প, ব্যয় হবে ৬৫৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা। স্থানীয় সরকার বিভাগের ঝিনাইদহ জেলা গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, ব্যয় হবে ৫০০ কোটি টাকা। বৃহত্তর পাবনা ও বগুড়া জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন (২য় পর্যায়) ১৪০০ কোটি টাকা।

বিদ্যুৎ বিভাগের নতুন প্রকল্প ঢাকায় ডেসকো এলাকায় বৈদ্যুতিক অবকাঠামো সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্প। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২২৭২ কোটি ৪৭ লাখ টাকা এবং স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড, মানিকগঞ্জ প্ল্যান্ট স্থাপন প্রকল্প, ব্যয় হবে ১৯০৫ কোটি ২৬ লাখ টাকা। শ্রীলংকার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পূর্ণ আলাদা। কোনো দিক থেকেই বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার পথে যাচ্ছে না। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, কেউ কেউ সরাসরি শ্রীলঙ্কাকে বাংলাদেশে বসিয়ে রায় দেয়, এটা গ্রহণযোগ্য নয়। এটা ইকোনমিক সাইন্সেও গ্রহণযোগ্য নয়, সামাজিক বিজ্ঞানেও গ্রহণযোগ্য নয়, দুটো সম্পূর্ণ ভিন্ন অর্থনীতি। দুটা দেশের ফান্ডামেন্টাল সম্পূর্ণ ভিন্ন কিসিমের, দুইটার গতিবিধি ভিন্ন কিসিমের।

সংবাদটি শেয়ার করুন