শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পরিবেশ দূষণে বাড়ছে মশা

পরিবেশ দূষণে বাড়ছে মশা
  •   শিগগিরই নিধন পরিকল্পনা
  •    দিনের বেলায় ঘুমাতে লাগে মশারি

দুপুর গড়িয়ে বিকেল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রচন্ডভাবে বেড়ে যায় মশার উপদ্রব। মাগরিবের আজানের পরে তো ঘরের ভেতর থাকা দায়! শুধু শোনা যায় মশার ভনভনানি গান। মশা এতোটাই বেড়ে যায় যে, কয়েল জ্বালিয়েও রেহাই পাওয়া যায় না উৎপাত থেকে। চলতি বছরে মশা তাড়ানোর জন্য নেওয়া হয়নি কার্যকর পদক্ষেপ

রাজধানী ঢাকার অতি নিকটবর্তী শিল্পঅধ্যুষিত জেলা গাজীপুর। এ জেলায় বসবাসরত প্রতিটি মানুষই কোন না কোনো ভাবে কর্মব্যস্তায় জড়িত। জেলায় অতি অন্যতম ভোগান্তি ও যন্ত্রণার নাম হচ্ছে জয়দেবপুর রেলক্রসিং। তারপরেই অবস্থান রাস্তার ধূলাবালিসহ বিভিন্ন ভাবে বায়ু দূষণ। শীত পরবর্তী গরম শুরু হওয়ার সময়ে যন্ত্রণার আরেক নাম মশা। দেশের সর্ববৃহৎ এ সিটি করপোরেশনে দিন দিন বেড়েই চলেছে মশার উপদ্রব। মশার যন্ত্রণায় মহানগরবাসীর জীবনযাত্রা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। রাত কিংবা দিন দুটো সময়েই মশার উৎপাত সহ্য করতে হচ্ছে নগরবাসীকে।

মহানগরীতে মশার উপদ্রব প্রতিনিয়ত বেড়ে চললেও মশা নিধনে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে এখনো নেয়া হয়নি কার্যকর উদ্যোগ। আর এতে নগরবাসী চরম ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নেই পর্যাপ্ত নালা। নেই ময়লা-আবর্জনা ফেলার পর্যাপ্ত স্থানও। বাসা-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের স্ব-স্ব জায়গার ব্যবহৃত ময়লা-আবর্জনা যত্রতত্রই ফেলছে। এতে করে হারহামেশাই দূষিত হচ্ছে প্রাকৃতিক পরিবেশ। ময়লা-আবর্জনা ফেলার জায়গায় জমে থাকা পানি থেকে জন্ম নিচ্ছে মশা। প্রতিনিয়তই মশার উপদ্রব এতোটাই বেড়েছে যে, শহরে বাসা-বাড়িতে রাত তো দূরের কথা দিনের বেলায় ঘুমাতেও টাঙ্গাতে হয় মশারি।

আরও পড়ুনঃ  চট্টগ্রাম বন্দরে কমেছে কার্গো পণ্য আসা

নগরবাসীর অভিযোগ, সবচেয়ে বড় সিটি করপোরেশন হলে কি হবে? এখানে ময়লা পানি নিষ্কাশনের জন্য নেই পর্যাপ্ত নালা, নেই কোনো নির্দিষ্ট স্থান। গৃহস্থালী ও কল-কারখানার ব্যবহৃত ময়লা-আবর্জনা ফেলার। তবে যে কটি নালা রয়েছে তার মধ্যে শহরের বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও বাসা-বাড়ির ময়লা পানি হার হমেশাই জমে থাকে। সেসব নালা নিয়মিত পরিষ্কার ও সংস্কার না করায় সেখান থেকে উৎপত্তি হচ্ছে মশার।

জয়দেবপুর শহরের বাসিন্দা নুরু মিয়া জানান, দুপুর গড়িয়ে বিকেল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রচন্ডভাবে বেড়ে যায় মশার উপদ্রব। মাগরিবের আজানের পরে তো ঘরের ভেতর থাকা দায়! শুধু শোনা যায়মশার ভনভনানি গান। মশা এতোটাই বেড়ে যায় যে, কয়েল জ¦ালিয়েও রেহাই পাওয়া যায়না মশার উৎপাত থেকে।

তিনি আরো বলেন, গেল বছর তো সিটি করপোরেশন থেকে ফগার মেশিন দিয়ে মশার ওষুধ দিয়েছিলো প্রতিটি ওয়ার্ডে ও মহল্লায়। কিন্তু এবছর এখনো পর্যন্ত মশা তাড়ানোর জন্য নেওয়া হয়নি কোন কার্যকরি পদক্ষেপ।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে মশক নিধন কার্যক্রমের জন্য ব্যয় দেখানো হয়েছে ১০ লাখ ৩ হাজার ৬১৬ টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে এ ব্যয় দেখানো হয়েছে ৭ লাখ ৩৯ হাজার ৭০ টাকা। ২০২০-২১ অর্থ বছরে এ খাতে ব্যয় দেখানো হয়েছে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং ২০২১-২২ অর্থ বছরে এই কার্যক্রমের জন্য ৩ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছিলেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।

আরও পড়ুনঃ  বিনা মূল্যে টিকার জন্য ‘সামাজিক ব্যবসায় নামছেন’ ড. ইউনূস

এ বিষয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম জানান, মশা নিধনের জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। খুব শিগগিরই এর কার্যক্রম শুরু হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন