শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিশু বিয়েতে শীর্ষে চাঁপাই

শিশু বিয়েতে শীর্ষে চাঁপাই

করোনায় বিয়ের ধুম-

আঠারোর আগেই ৬০ ভাগ শিশু বিয়ের পিঁড়িতে

  • করোনাকালে শিশুবিয়ে বেড়েছে ৫০ শতাংশ

শিশু বিবাহের পরিসংখ্যানে ১৫ বছরের নিচে শিশুদের ক্ষেত্রে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ৩৯ শতাংশ ও রাজশাহী জেলায় ২৮ শতাংশ শিশুর বিয়ে হয়। এ পরিসংখ্যানের হিসেবে ১৫ বছরের নিচে শিশুদের বিয়ের ক্ষেত্রে চাঁপাইনবাবগঞ্জ দেশের প্রথমস্থান ও রাজশাহী দেশের ৪র্থ স্থান। অপরদিকে ১৮ বছরের নিচে শিশুদের বিয়ের ক্ষেত্রে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ৭৩ শতাংশ ও রাজশাহী জেলায় ৭০ ভাগ। করোনার সময়ে শিশু বিয়ে আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে।

সম্প্রতি ইউনিসেফের সহযোগিতায় অ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্টের (এসিডি) আয়োজনে শিশু বিবাহ প্রতিরোধে নেটওয়ার্ক গঠণের লক্ষ্যে এক সভার আয়োজনে বক্তরা এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশের জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপ ২০১৭-১৮ (বিডিএইচএস) অনুযায়ী, ১৮ বছরের আগেই দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। বিডিএইচএসের আর একটি হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০০৭ এবং ২০১১ সালে বাল্যবিয়ের হার ৬৫ শতাংশ ছিল। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের জরিপ বলছে, করোনাকালে বাল্যবিয়ে প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে। ১৩ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে প্রায় ৪৮ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হচ্ছে।

বাংলাদেশের জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপ ২০১৭-১৮ (বিডিএইচএস) অনুযায়ী, ১৮ বছরের আগেই দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। বিডিএইচএসের আর একটি হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০০৭ এবং ২০১১ সালে বাল্যবিয়ের হার ৬৫ শতাংশ ছিল। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের জরিপ বলছে, করোনাকালে বাল্যবিয়ে প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে। ১৩ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে প্রায় ৪৮ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ  মাঝপথে বিপাকে সৌদিগামী ৬৮ বাংলাদেশি

এসিডি সভা কক্ষে এ সভার সূচনা পর্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য এবং প্রকল্প সম্পর্কে মাল্টিমিডিয়ায় ধারণা প্রদান করেন এসিডির প্রোগ্রাম ম্যানেজার মনিরুল ইসলাম। আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গির পরির্বতনের মাধ্যমে শিশু বিবাহ প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে সকলের সম্মিলিত অংশগ্রহণ, শিশু বিবাহের কূফল এলাকার জনগণকে তুলে ধরা, এবং আইনের যথাযাথ বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে শিশু বিবাহ প্রতিরোধ নেটওয়ার্ক গঠন করা হয়।

সভায় নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, বেসরকারি সংগঠনের প্রতিনিধি, শিক্ষক প্রতিনিধি, কিশোর-কিশোরী প্রতিনিধি, গণমাধ্যম, কাজী ও বিবাহ নিবন্ধক অংশগ্রহণ করেন। সভায় শিশুবিবাহ প্রতিরোধ নেটওয়ার্কের নীতিমালাসহ সদস্যদের দায়িত্ব ও কর্তব্য নিয়েও আলোচনা করা হয়।

আয়োজক প্রতিষ্ঠান জানান, কিশোর কিশোরীদের বিভিন্ন বিষয়ে ক্ষমতায়ন ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে উন্নয়ন সাধনের লক্ষ্যে এসিডি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ৬, ১১, ১৯ ও ২৮ নং ওয়ার্ডে, মোহনপুর উপজেলার ঘাসিগ্রাম, জাহানাবাদ, রায়ঘাটি ও বাকশিমইল ইউনিয়ন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ইসলামপুর, সুন্দরপুর, বালিয়াডাঙ্গা ও গোবরাতলা ইউনিয়ন এবং শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর, শ্যামপুর, মনাকষা ও দুর্লভভপুর ইউনিয়নে শিশু বিবাহ প্রতিরোধে কাজ করছে।

সভায় এ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট-এসিডি নেটওয়ার্কের সচিবালয় হিসেবে ভূমিকা পালন করবে। সচিবালয়ের ফোকাল হিসেবে যিনি দায়িত্ব পালন করবেন তিনিই মূল যোগাযোকারী হিসাবে নেটওয়ার্কের তথ্য আদান প্রদান ও আন্তঃসম্পর্ক উন্নয়নে বিশেষভাবে দায়িত্ব পালন করবেন বলেও সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সকলের সম্মিলিত সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে শিশু বিবাহ প্রতিরোধ নেটওয়ার্কের সভাপতি হিসেবে বরেন্দ্র উন্নয়ন প্রচেষ্টার নির্বাহী পরিচালক ফয়জুল্লাহ চৌধুরী এবং সহসভাপতি হিসেবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আরএসডিএফ এর নিবার্হী পরিচালক মনজুরুল ইসলাম খান বাবুকে মনোনিত করা হয়। একই সাথে আগামীদিনের একটি কর্মপরিকল্পনা প্রনয়ন করা হয়। শিশু বিবাহ প্রতিরোধকল্পে স্থানীয় পর্যায়ে নেটওর্য়াক গঠনের মাধ্যমে এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরনের লক্ষ্যে আমাদের সবাইকে কাজ করে যেতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন