মঙ্গলবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন কমিশনের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই: কৃষিমন্ত্রী

নির্বাচন কমিশনের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই: কৃষিমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যারা নিয়োগ পেয়েছেন তাদের ভাবমূর্তি খুবই উজ্জ্বল। অতীতে তারা স্বস্ব পেশায় অত্যন্ত সফলতা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। আমি যতদূর জানি, তাদের তেমন কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই। এ কমিশন গঠনের পর থেকে সব মহলে বিতর্ক কমে গেছে। শান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে। একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের প্রত্যাশা সবার মাঝে তৈরি হয়েছে এবং সবাই মনে করছে এ নতুন কমিশনের মাধ্যমে একটা ভালো নির্বাচন হবে।

মন্ত্রী বলেন, দেশে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য কোনো আইন ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকার সুষ্ঠু সুন্দর নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আইন প্রণয়ন করেছেন। এ আইনানুযায়ী রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। কাজেই, বিএনপি এ কমিশনকে প্রত্যাখ্যান করুক বা না করুক- তাতে কিছু যায় আসে না। তারা যতোই আন্দোলনের হুমকি দিক, আগামী নির্বাচন বন্ধ করতে পারবে না। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের সকল আন্দোলন মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে।

রবিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। পরে কৃষিমন্ত্রী বাসাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, শিক্ষা ও মানব সম্পদ সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি, টাঙ্গাইল সদর আসনের এমপি ছানোয়ার হোসেন, কেন্ত্রীয় যুবলীগের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য মামুনুর রশিদ মামুন, বাসাইল-সখীপুর আসনের সাবেক এমপি অনুপম শাহজাহান জয় প্রমুখ।

আরও পড়ুনঃ  একদিনে মৃত্যু ৪১, নতুন আক্রান্ত ৩৭৭৫

প্রসঙ্গত, সর্বশেষ ২০১৫ সালের ১৯ এপ্রিল বাসাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময় সভাপতির পদ পান কাজী অলিদ ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদকের পদ পান হাজী মতিয়ার রহমান গাউজ। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় কাজী অলিদ ইসলামকে সভাপতির পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শামছুল আলম মাষ্টার।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন