শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খরা-বন্যা সহিষ্ণু নতুন ধান উদ্ভাবনে গবেষণা

খরা-বন্যা সহিষ্ণু নতুন ধান উদ্ভাবনে গবেষণা

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) কৃষি অনুষদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের একটি দল খরা ও বন্যা সহিষ্ণু একটি নতুন জাতের ধান উদ্ভাবনে কাজ করছেন।

চলতি আমন মৌসুমে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা মাঠে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের যৌথ গবেষণায় এ নতুন জাতের ধান উদ্ভাবনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। গবেষণা সংশ্লিষ্টরা খরা ও বন্যা সহিষ্ণু ধানের জাতটি দ্বিগুণের বেশি ফলনশীল হবে বলে আশা করছেন। এ উচ্চ ফলনশীল ধান গাছটির আরেকটি অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো, এর কান্ড শক্ত ও মজবুত হওয়ার কারণে রোপণ থেকে শুরু করে ধান উত্তোলন পর্যন্ত পুরো মৌসুমজুড়ে গাছ হেলে না পড়ে দাঁড়িয়ে থাকবে এবং প্রতিকুল পরিবেশেও ফলন দিবে।

গবেষকদের দাবি, ধান গাছের পাতা শেষ পর্যন্ত সবুজ াকার ফলে ফলন ভালো হবে এবং গবাদি পশুর গুণগত খাদ্য চাহিদাও পূরণ হবে। এতে করে একজন কৃষকের ধানের পাশাপাশি গবাদিপশুর দিক েেকও আয় করা সহজতর হবে।

নতুন জাতের ধানের উদ্ভাবনের এ গবেষণার সাঙ্গে যুক্ত আছেন উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশীদ, কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোমিনুর রহমান এবং উদ্ভিদ প্রজনন ও কৌলিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আরিফুজ্জামান। গবেষণার সাঙ্গে আরও যুক্ত ছিলেন কৃষিতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী মামুনুর রশীদ, নূরী মারজান এবং উদ্ভিদ প্রজনন ও কৌলিতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সুমি সাহা। উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশীদ জানান, গবেষণাধীন এ উচ্চ ফলনশীল ধানের জাতটি আর কয়েক বছর রোপণ ও পর্যবেক্ষণের পর কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব হবে। এতে করে কৃষকরা অধিক ফলন পাবে এবং ধান উৎপাদন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে।

আরও পড়ুনঃ  ‘দেশের স্বার্থে ইউক্রেন-রাশিয়া ইস্যুতে ভোট দিইনি’

তিনি আরও জানান, কৃষিবান্ধব সরকার, কৃষি মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর সহযোগিতা পেলে এরকম উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত নিয়ে আরো গবেষণা চালিয়ে যাওয়া ও কৃষিখাতে অবদান রাখা সম্ভব হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন