ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাদ্রিদে বাংলাদেশ দূতাবাসে বাংলা নববর্ষ উদযাপন

ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে স্পেনের মাদ্রিদে বাংলাদেশ দূতাবাস শনিবার বাংলা নববর্ষ-১৪২৯ উদযাপন করেছে। দিবসের কর্মসূচির মধ্যে অন্যতম ছিল মঙ্গল শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। বেলা ১১ টায় অনুষ্ঠানের শুরুতে, পহেলা বৈশাখের মুখোশ, ফেস্টুন ও ব্যানারে সুসজ্জিত হয়ে দূতাবাস প্রাঙ্গণ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা দূতাবাসের সম্মুখের সড়ক প্রদক্ষীণ করে।

এ সময় দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী স্পেন প্রবাসী বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিবৃন্দ, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ তাদের পরিবারের সদস্যসহ অংশগ্রহণ করেন। মঙ্গল শোভাযাত্রার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ। তিনি তার বক্তব্যে বাংলা নববর্ষ উদযাপনের বর্ণাঢ্য ইতিহাস বর্ণনা করে বলেন,বাংলা নববর্ষ বাঙ্গালীর প্রাণের উৎসব। পহেলা বৈশাখ বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং জাতির সার্বজনীন উৎসব। মঙ্গল শোভাযাত্রা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমস্ত বাঙালীর অসাম্প্রদায়িক চেতনার বহিঃপ্রকাশ। যেমনটি আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখেছিলেন।

ঐতিহ্যবাহী মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ইউনেস্কো ২০১৬ সালে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্থান দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি বাঙালিদের জন্য অত্যন্ত গর্বের এবং সম্মানের।

পরে দূতাবাসের হলরুমে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ আরো বলেন, যে বাংলা নববর্ষ বাঙালী জাতীয় জীবনে পরম আনন্দের দিন। চির নতুনের বার্তা নিয়ে আমাদের জীবনে বয়ে নিয়ে আসে নতুনের বারতা। তিনি আরো বলেন যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাষ্ট্রদর্শন ও আদর্শের অন্যতম ভিত্তি ছিল দেশীয় সাংস্কৃতির বিকাশ ও জাতীয় চেতনায় উন্মেষ। এ সময় তিনি দেশীয় ঐতিহ্যকে ধারণ করার পাশাপাশি বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে বিদেশের মাটিতে যথাযথভাবে তুলে ধরার জন্য আগত বাংলাদেশিদের তিনি নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল একটি বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান যার মাধ্যমে বাংলা নববর্ষ উদযাপনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশীরা মনোমুগ্ধকর বিভিন্ন জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন। পরে অংশগ্রহণকারী মহিলা, শিশু কিশোর ও পুরুষদের জন্য বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় এবং বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশী খাবার পরিবেশন করা হয়।

আনন্দবাজার/টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন