শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্রেস্ট টিউমারের ঝুঁকি বাড়ায় মেয়াদোত্তীর্ণ লিপস্টিক

প্রায় সব নারীরাই লিপষ্টিক দিয়ে নিজেকে সাজাতে পছন্দ করে। পোশাকের রঙের সাথে রং মিলিয়ে ঠোঁটে লিপস্টিক পরেন তারা। তাই তাদের সংগ্রহে থাকে নানা রঙের লিপস্টিক। লিপস্টিক অনেকগুলো হয়ে গেলে সবগুলো তো আর প্রতিদিন ব্যবহার করা হয় না। দীর্ঘদিন ধরে ঘরে পরে থাকলে একটা সময় লিপস্টিকের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যেতে পারে। আর এই মেয়াদোত্তীর্ণ লিপস্টিক ব্যবহার করলেই নানারকম অসুস্থতা বাসা বাঁধতে পারে আপনার শরীরে।

পুরানো লিপস্টিক যেভাবে সনাক্ত করবেন-

ভালো ব্র্যান্ডের একটি লিপস্টিক প্রায় ১২-১৮ মাস স্থায়ী হয়। চলুন জেনে নিই লিপস্টিক ব্যবহার করার উপযোগী আছে কি না তা খুঁজে বের করার কিছু সহজ উপায়-

  • লিপষ্টিকের মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ পরীক্ষা করতে পারেন।
  • লিপষ্টিকের গন্ধ লক্ষ্য করুন। খুব পুরানো হলে এটির অদ্ভুত গন্ধ হতে পারে।
  • ঠোঁটকে আর্দ্র করে কি না ও সহজে ঠোঁটে লেগে যায় কিনা তা পরীক্ষা করুন।

চলুন জেনে নিই পুরানো লিপস্টিক ব্যবহার করার ফলে কী কী ক্ষতি হতে পারে-

মুখের চারপাশে চুলকানি

মেয়াদোত্তীর্ণ লিপস্টিকগুলোতে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা মুখের ভেতরে এবং চারপাশে চুলকানির কারণ হতে পারে। লিপস্টিকে রয়েছে ল্যানোলিন। যা সহজেই শুষ্কতা, চুলকানি এবং ব্যথার মতো অ্যালার্জির সৃষ্টি করতে পারে।

ব্রেস্ট টিউমার

মেয়াদোত্তীর্ণ লিপস্টিকে প্রিজারভেটিভ এবং বিএইচএ সহ ক্ষতিকারক পদার্থ থাকতে পারে। ফলে মেয়াদোত্তীর্ণ লিপস্টিক ব্যবহার করলে স্তনে টিউমার হতে পারে। মেয়াদউত্তীর্ণ লিপস্টিক ব্যবহারের পর কোনো সমস্যা অনুভব করলে ডার্মালোজিস্টের পরামর্শ নিন।

আরও পড়ুনঃ  বাংলার মার্কস 'লালন শাহ'

কিডনি ফেইলিওর, রক্তস্বল্পতা এবং মস্তিষ্কের ক্ষতি

মেয়াদোত্তীর্ণ লিপস্টিকে আছে ল্যানোনিনের শক্তিশালী শোষণক্ষমতা। যা বাতাস থেকে ধুলো, ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং ভারী ধাতু শোষণ করতে পারে, এটি ঠোঁট দ্বারা শোষিত হতে পারে। লিপস্টিক লাগিয়ে খাবার খাওয়ার সময় এগুলো শরীরে প্রবেশ করে। লিপস্টিকেও রয়েছে প্রচুর সীসা এবং ক্যাডমিয়াম। মেয়াদোত্তীর্ণ লিপস্টিক ব্যবহার করার ফলে সীসার বিষক্রিয়া হতে পারে এবং রেনাল ফেইলিওর, অ্যানিমিয়া, মস্তিষ্কের ক্ষতি এবং মস্তিষ্কের নিউরোপ্যাথি হতে পারে।

আনন্দবাজার/ টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন