শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জেনে নিন বিদ্যুৎ বিল কমানোর ৬ কৌশল

 ইলেকট্রিসিটি ছাড়া আমাদের দৈননিন্দ জীবন একেবারেই অচল। ২৪ ঘণ্টাই আমরা ইলেকট্রিসিটি ব্যবহার করে থাকি, কিন্তু বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হই না। ফলে মাস শেষে বিদ্যুৎ বিল চলে আসে অনেক। আর তখনই শুরু হয়ে যায় টেনশন।

তবে নিজেদের সচেতনতা বাড়িয়ে কিছু কৌশল অবলম্বন করে এই বিদ্যুৎ বিল অনেকটাই কমানো যায়।

আসুন জেনে নেই বিদ্যুৎ বিল কমানোর সহজ কৌশল-

সুইচ বন্ধ রাখা- ফ্যান, বাতি, টিভি, কম্পিউটার ব্যবহার করার পর সেগুলোর সুইচ সাথে সাথেই বন্ধ করে রাখা। এগুলো প্রতিনিয়ত খেয়াল করলে বিদ্যুৎ বিল অনেকটাই কমে আসে। মেশিন বা ইস্ত্রি ব্যবহার করার পর প্লাগ খুলে রাখা উচিত। কম্পিউটার বা টিভি ব্যবহার না করলে স্লিপ মুডে অথবা বন্ধ করে রাখুন।

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ব্যবহার- এনার্জি বাল্ব বা এলইডি লাইট ব্যবহার করা হলে বিদ্যুতের ব্যবহার অনেক কমে আসে। এছাড়াও  বর্তমানে ইনভার্টারযুক্ত ফ্রিজ, এসি, ওয়াশিং মেশিন পাওয়া যায়। এসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করলে বিদ্যুৎ বিল দুই তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনা সম্ভব।

এসির নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার- বাসাবাড়িতে নিয়ন্ত্রিতভাবে এসি ব্যবহার করা গেলে এর বিল কমিয়ে আনা সম্ভব। এসির তাপমাত্রা সবসময় ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখতে হবে। রুম ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়ার পর এসি বন্ধ করে ফ্যান চালানো যেতে পারে। এতে অনেকটাই বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হয়।

মানসম্মত তার ব্যবহার- বিদ্যুতের সংযোগ ও তারের ওপর বিদ্যুতের বিল অনেকটা নির্ভর করে। খারাপ মানের তার হলে, সংযোগ দুর্বল হয়ে পরে। এতে সেটি লো ভোল্টেজের সৃষ্টি করে, ফলে বিলও বিলও অনেক বৃদ্ধি পায়।

আরও পড়ুনঃ  শিশুর যত্নে ‘ডক্টর’স অ্যাডভাইস’

বহুতল ভবনের সাব- স্টেশন পুরাতন হলে সেটা অনেক বেশি বিলের কারণ হতে পারে। বছরে অন্তত একবার এসব যন্ত্রপাতি পরীক্ষা করতে হবে। বাসার এসি ও ফ্রিজের ফিল্টার নিয়মিত পরিষ্কার করানো হলে সেটি কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করবে।

বিকল্প যন্ত্রপাতির ব্যবহার: বাসায় মাইক্রো ওভেন ব্যবহার না করে চুলা ব্যবহার করতে পারেন। স্লো কুকার বা টোস্টার ব্যবহার করা যায়। আবার ওয়াশিং মেশিনে গরম পানির সেটিং ব্যবহার না করলে বিদ্যুৎ বিল অনেক কমে আসবে।

প্রাকৃতিক শক্তির ব্যবহার: বর্বতমানে বহুতল ভবনে সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে বিদ্যুৎ বিতরণকারী সংস্থাগুলো। যেখানে খুব বেশি লোডশেডিং হয়, তারাও সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারেন। সেই সাথে দিনের বেলায় ঘরের ভেতর বাতি না জ্বালিয়ে সূর্যের আলোর সুবিধা নেয়ার প্রবণতা তৈরি করা ভালো। সেটি আবাসিক বিদ্যুতের ব্যবহার অনেকটা কমিয়ে দিতে পারে।

আনন্দবাজার/ এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন