শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে বেগুন ভিজিয়ে রাখুন!

শার্শা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা সৌতম কুমার শীল জানান, কীটনাশক ব্যবহার নিয়ে যতটা অজ্ঞতা সবজি চাষে আছে, তা আর অন্য কোনো চাষে নেই। চাষীদের অসচেতনতায় ফসলের রোগ আটকাতে গিয়ে মানুষের শরীরে ভয়ঙ্কর বিষ ছড়াচ্ছে। এখনও বহু চাষি তা বুঝতে চায় না। সবজির ভেতর সর্বাধিক কীটনাশক দেয়া হয় বেগুনে। দেখা যায় কড়া কীটনাশক ছড়িয়ে পরদিনই বিক্রি করে দিচ্ছে চাষিরা। এই প্রসঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. অশোক কুমার সাহা জানান, ওই রাসায়নিক রক্তের সঙ্গে মিশলে কিডনি, লিভারে জমা হয়। যার দীর্ঘমেয়াদী ফল খুব খারাপ।

কৃষি কর্মকর্তা আরও জানান, বর্তমানে কীটনাশক বিক্রির দোকানগুলো কার্যত হাতুড়ে চিকিৎসকের চেম্বারে পরিণত হয়েছে। জমিতে ইচ্ছে মতো কড়া কড়া ওষুধ দিতে বলা হচ্ছে চাষিদের। অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক খেলে যেমন আর যথাযথ ওষুধে কাজ হয় না, ঠিক তেমনি অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারের ফলেও আর কাজ হচ্ছে না কীটনাশকে। বেশি মাত্রার কীটনাশক ব্যবহারে নতুন প্রজাতির পোকার আক্রমণও বেড়েই চলেছে।

তবে রাসায়নিক কীটনাশকের চাইতে পরিবেশবান্ধব উপায়ে এসব পোকার উপদ্রব আটকানো যায়। সাধারণত বেগুন, টমেটো বা ফুলকপিতে পাতার নীচে পোকাগুলি ডিম পাড়ে। প্রথম থেকেই যদি নিয়মিত চাষিরা নজর রাখেন তাহলে ওই পাতাগুলো ছিঁড়ে পা দিয়ে থেঁতলে দিলে সেই পোকার বংশবৃদ্ধি আটকানো যায়।

সৌতম কুমার শীল আরও জানান, শীত মৌসুমে বাজারে প্রচুর শীতকালীন সবজির উপস্থিতি থাকে। সেই ক্ষেত্রে বেগুনের একটু চাহিদা ও দাম কমে যেতে পারে। তাছাড়া বিষযুক্ত বেগুন কিনে বাড়িতে ফুটানো পানিতে লবণ মিশিয়ে ১৫ থেকে আধাঘণ্টা ভিজিয়ে রাখলে প্রায় ৯০ শতাংশ বিষমুক্ত হতে পারে।

আরও পড়ুনঃ  ভাড়া দিয়ে আয় করা যায় এমন কিছু ব্যবসার আইডিয়া

আনন্দবাজার/শাহী

সংবাদটি শেয়ার করুন