শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এই গরমে অতিরিক্ত ঘাম হলে করণীয়

গরমে কাঠফাটা রোদে বাইরে বের হলে ঘামতেই হবে। অতিরিক্ত ঘাম হলে কাপড় ভিজে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ার অভিজ্ঞতা অনেকেরই আছে। অত্যধিক ঘামের সমস্যাকে ইংরেজিতে ‘হাইপার হাইড্রোসিস’ বলে। তবে এটাও দুই ধরনের হতে পারে।

শরীরের কিছু অংশ যেমন : হাত এবং পায়ের তালু, বগল, দুই ঊরুর মধ্যকার অংশ এবং পেছনে মলদ্বারের আশপাশের জায়গা, নাকের অগ্রভাগ, কপাল ইত্যাদি স্থানে ঘামতে পারে। আবেগপ্রবণতা এবং মানসিক চাপ—এটির প্রথম ও প্রধান কারণ। এছাড়া স্নায়ুতন্ত্রের কিছু রোগের কারণেও হতে পারে।

দ্বিতীয় ধরনটি হচ্ছে পুরো শরীর ঘেমে যাওয়া। খুব গরম, অত্যধিক আর্দ্র পরিবেশ, ব্যায়াম ও পরিশ্রমের জন্য বেশি ঘাম হতে পারে। কিন্তু অসুখের জন্যও হতে পারে। যেমন : জ্বর ছেড়ে দেওয়ার সময়ের ঘাম। শরীরের হরমোনের তারতম্যের কারণেও হতে পারে। যেমন : ডায়াবেটিস, থাইরয়েড গ্ল্যান্ডের অতিরিক্ত হরমোন নিঃসরণ, গর্ভাবস্থা, মাসিক বন্ধের পরবর্তী পর্যায়ে, স্নায়ুতন্ত্রের অসুখ এবং বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার।

শরীরের ভেতরের কোনো দুর্বলতা, উদ্বেগ, থাইরয়েড এবং হৃদরোগের সমস্যা থেকে অতিরিক্ত ঘাম হচ্ছে কি না তা জানতে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

আর্দ্র পরিবেশের কারণে ঘাম হলে-

♦ পাতলা ও সুতি কাপড় পরতে হবে

♦ বগলের লোম পরিষ্কার রাখতে হবে

♦ অন্তর্বাস বা আন্ডারওয়্যার নিয়মিত বদলাতে হবে

♦ প্রতিদিন অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান দিয়ে গোসল করতে হবে। কারণ হচ্ছে ঘামের ব্যাকটেরিয়া থেকে দুর্গন্ধ হয়। এছাড়া গোসলের পর শরীর ভালো করে শুকাবেন। এরপর অ্যান্টিপার্সপিরেন্ট স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন

আরও পড়ুনঃ  বর্ষাকালে কাপড় সুরক্ষিত রাখার উপায়

♦ জুতা পরার আগে পা ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। পাতলা মোজা পরতে হবে।

♦ ঝাল খাবার, গরম চা বা কফি খাওয়ার মাত্রা কমতে হবে। এগুলো শরীরে তাপ বাড়ায়।

অতিরিক্ত ঘামের জন্যও ওষুধ রয়েছে। কিন্তু এটির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকার কারণে এগুলোর ব্যবহার খুবই সীমাবদ্ধ। কিছু ক্ষেত্রে ঘুম এবং মানসিক প্রশান্তির ওষুধও কিছুটা কাজ করে। তবে এসব ওষুধ ব্যবহারের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

আনন্দবাজার/টি এস পি

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন