শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষা-স্বাস্থ্যে দিতে হবে ৬০ ভাগ

করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা

করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) খাতে মুনাফার একটি অংশ খরচ করার কথা থাকলেও বরাদ্দের পুরোটা অর্থের বিশেষ খাতে বা তহবিলে দিয়ে দিচ্ছে অনেক ব্যাংক। এতে বঞ্চিত হচ্ছে বেশিরভাগ মানুষ। এ জন্য সিএসআরের অর্থ টেকসই খাতে ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

]এ জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সিএসআর নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। সেই নীতিমালা মেনে খরচ না করলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর টেকসই রেটিংয়ে প্রভাব পড়বে বলে জানানো হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স বিভাগের মহাব্যবস্থাপক খোন্দকার মোর্শেদ মিল্লাতের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির প্রস্তুত করা নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সিএসআর খরচের ৩০ শতাংশ শিক্ষা খাতে, ২০ শতাংশ পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ও ৩০ শতাংশ স্বাস্থ্য খাতে খরচ করতে হবে। বাকি অর্থ আয় উপযোগী উদ্যোগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামো উন্নয়ন, খেলাধুলা ও বিনোদন খাতে খরচ করা যাবে।

নীতিমালা অনযায়ী, শিশুশ্রমে আছে এমন খাত, সামাজিক মূল্যবোধের জন্য ক্ষতিকর ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ও বিনোদন অনুষ্ঠানে সিএসআরের টাকা খরচ করা যাবে না। পাশাপাশি ব্র্যান্ডিং ও বিজ্ঞাপনে সিএসআরের টাকা খরচ করা যাবে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে নীতিমালায়। এর বাইরে ব্যাংকগুলো চাইলে নীতিমালা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও মন্ত্রণালয়ের তহবিলে সিএসআরের অর্থ দিতে পারবে।

প্রণীত নীতিমালায় স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতের কোনো উপখাতে খরচ করা যাবে, তা সুনির্দিষ্ট করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি কোন খাতে সিএসআরের টাকা খরচ করা যাবে না, তা–ও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। করোনার কারণে ব্যাংকগুলোকে সিএসআর খাতের ৫০ শতাংশ স্বাস্থ্য খাতে খরচের নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে বিদায়ী বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসে দেশের ব্যাংকগুলো ৪৬১ কোটি ৪২ লাখ টাকা সিএসআর ব্যয়ের মধ্যে স্বাস্থ্য খাতেই ব্যয় করে ২৩৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, আগে ব্যাংকগুলোর সিএসআর খরচের জন্য শাখা পর্যায়ের কর্মকর্তারা যুক্ত থাকতেন। ফলে সারা দেশের মানুষ এর সুফল পেতেন। এখন আর সেটা দেখা যায় না।

আরও পড়ুনঃ  লিবিয়া থেকে ফিরেছেন ১৫৭ বাংলাদেশি

আনন্দবাজার/শহক

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন