শুক্রবার, ২৬শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মূলধন ‘অস্বাভাবিক’ হ্রাস

মূলধন ‘অস্বাভাবিক’ হ্রাস
  • পাঁচদিনে কমেছে ২৫ হাজার কোটি টাকা
  • বিশেষ দৃষ্টি দেওয়ার পরামর্শ বিএসইসির

আগের সপ্তাহ থেকে বিদায়ি সপ্তাহে (রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার) পুঁজিবাজারের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই ও সিএসই) মূলধন কমেছে ২৫ হাজার ৯৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে মূলধন কমেছে ডিএসইর ১২ হাজার ৩৩২ কোটি টাকা এবং সিএসইর ১২ হাজার ৭৬২ কোটি টাকা। এধরনের মূলধন কমাকে বাঁকা চোখে দেখছেন পুঁজিবাজার সংশিষ্টরা।

তারা বলছেন, পুঁজিবাজারে মূলধন বাড়া-কমা স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে এই বাড়া-কমার একটা সীমা থাকে। সেটা অতিক্রম ভালো লক্ষণ না। এক সপ্তাহের ব্যবধানে পুঁজিবাজরের দুই স্টকের মূলধন ২৫ হাজার ৯৪ কোটি টাকা কমা স্বাভাবিক ব্যাপারে নয়। তাই এ ধরনের মূলধন কমা রোধে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) বিশেষ দৃষ্টি দেবার পরামর্শ দেন।

দুই স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রমতে, গেল সপ্তাহের শেষে ডিএসইর পুঁজিবাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩৯ হাজার ২৫৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৫ লাখ ৫১ হাজার ৫৯০ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পুঁজিবাজার মূলধন কমেছে ১২ হাজার ৩৩২ কোটি ৫৩ লাখ। ওই সপ্তাহ শেষে সিএসইর পুঁজিবাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৬৭ হাজার ৪৯৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার ২৫৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইর পুঁজিবাজার মূলধন কমেছে ১২ হাজার ৭৬২ কোটি ৩৮ লাখ। সপ্তাহের ব্যবধানে মূলধন কমেছে দুই পুঁজিবাজারে ২৫ হাজার ৯৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা।

আরও পড়ুনঃ  অর্থনৈতিকভাবে পাকিস্তান থেকে অনেক এগিয়ে আছি: প্রধানমন্ত্রী

গেল সপ্তাহে উভয় পুঁজিবাজারের সব ধরনের সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। ওই সপ্তাহে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দরও কমেছে। তবে আগের সপ্তাহ থেকে গেল সপ্তাহে উভয় স্টকে লেনদেন পরিমাণ বেড়েছে। গেল সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৮১৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। যা আগের সপ্তাহে ছিল ৩ হাজার ৭৩৩ কোটি ৮ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৮১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। অপরদিক গেল সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৫১ কোটি ৮ লাখ টাকা। যা আগের সপ্তাহে ছিল ১৩৭ কোটি ৮২ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ২১৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা।

গেল সপ্তাহের শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৬২ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৭০২ দশমিক ৬১ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই৩০ সূচক ৭৪ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট ও শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ৩৮ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২ হাজার ৫১১ দশমিক ৯৯ পয়েন্টে ও ১ হাজার ৪২৩ দশমিক ৬৫ পয়েন্টে। গেল সপ্তাহের শেষে সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৫৪৫ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৫২৯ দশমিক ৬৬ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই৫০ সূচক ৪৬ দশমিক ৫২ পয়েন্ট, সিএসই৩০ সূচক ২৭৫ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স সূচক ৩৩০ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্ট ও সিএসআই সূচক ৪৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৪৬৩ দশমিক ৭৮ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৮০৬ দশমিক ৩৭ পয়েন্টে, ১১ হাজার ৭৩৪ দশমিক ৫১ পয়েন্টে ও ১ হাজার ২০৬ দশমিক ৩৩ পয়েন্টে।

আরও পড়ুনঃ  বিশ্বে পাটপণ্যের সম্ভাবনা বাড়াতে নীতিমালার সংস্কার দাবি

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৮৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৮১টির, দর কমেছে ২৯৫টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৫টির কোম্পানির। লেদনের হয়নি পাঁচ কোম্পানির শেয়ার। সপ্তাহে সিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৪০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৭৩টির, দর কমেছে ২৫৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১২টির কোম্পানির।

গেল সপ্তাহে ডিএসইতে ‘এ’ ক্যাটাগরির ২ হাজার ৫৪৪ কোটি ৬৬ লাখ ৮৬ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। ওই সময় ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮১৮ কোটি ২৮ লাখ ১১ হাজার টাকা, ‘এন’ ক্যাটাগরির ১৫০ কোটি ১০ লাখ ৮৩ হাজার টাকা ও ‘জেড’ ক্যাটাগরির ৬০ কোটি ৩৯ লাখ ৪৩ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। ওই সপ্তাহে সিএসইতে ‘এ’ ক্যাটাগরির ২৮৩ কোটি ৭৩ লাখ ১৬ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। ওই সময় ‘বি’ ক্যাটাগরির ৪৩ কোটি ৪৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ‘এন’ ক্যাটাগরির ২২ কোটি ৭৮ লাখ ৯৭ হাজার টাকা ও ‘জেড’ ক্যাটাগরির ১ কোটি ৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে।

আনন্দবাজার/এম.আর

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন