ফের চড়াও হয়েছে রাজধানীর পেঁয়াজের বাজার। গত কয়েক দিনে বাজার কিছুটা নমনীয় হয়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২৬০ থেকে নেমে এসে বিক্রি হচ্ছিলো ১৬০ টাকা দরে। তবে আজ হঠাৎ করে আবারও পেঁয়াজের দাম ২০০শর ঘরে চলে গেছে।
সংকট কাটাতে সরকার তুরস্ক, মিশর, মিয়ানমার, পাকিস্তানসহ কয়েকটি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করায় গত কয়েকদিন যাবত পেঁয়াজের দাম কমতে থাকে। একইসঙ্গে দেশি নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসায় তার কিছুটা প্রভাবও পড়ে । তবে নতুন করে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজধানীবাসীর কপালে ফের চিন্তার বাজ পড়েছে।
আজ রাজধানীর খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে কেজি প্রতি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকা, মিয়ানমারের পেঁয়াজ ১৮০ টাকা, মিশর ও চায়নার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা দরে।
এদিকে কেজি প্রতি ১০ টাকা বেড়ে রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজারখ্যাত শ্যামবাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, মিয়ানমারের পেঁয়াজ ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায়, মিশরের পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১০৪ টাকায়, চায়না পেঁয়াজ ১০০ টাকায়, পাকিস্তান থেকে প্লেনযোগে আসা পেঁয়াজ ১৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে কারওয়ান বাজারের পাইকারি বাজারে কেজি প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে, মিয়ানমারের পেঁয়াজ ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়, মিশরের পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১১৬ টাকায়, চায়না পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১০৫ টাকা কেজি দরে বিক্র করা হচ্ছে ।
আর কারওয়ান বাজারের খুচরা বাজার, শান্তিনগর, খিলগাঁও বাজার, রামপুরা ও মালিবাগ বাজারে দেশি পেঁয়াজ খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকা কেজি দরে, মিয়ানমারের পেঁয়াজ ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়, মিশরের পেঁয়াজ ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়, চায়না পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। একিসাথে এসব বাজারে নতুন দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা, গাছসহ পেঁয়াজ ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে।
শ্যামবাজারের পেঁয়াজ আমদানিকারক ও পাইকারি বিক্রেতা টিটন রায় বলেন, বাজারে আমদানি না থাকায় দাম আবার একটু বেড়েছে । তাছাড়া প্লেনযোগে আসা পাকিস্তানি পেঁয়াজের দাম বেশি। আমদানি বেশি হলে আবার দাম কমে আসবে।
অন্যদিকে বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় রাজধানীর অনেক জায়গায় অব্যাহত রয়েছে টিসিবির খোলা বাজারে ট্রাকসেলে পেঁয়াজ বিক্রি। আর দীর্ঘ সময় ধরে সারিবদ্ধ লাইনে দাঁড়িয়ে সেই পেঁয়াজ কিনতে দেখা গেছে ক্রেতাদের। প্রতিদিন একেকটি ট্রাকযোগে এক হাজার কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে। বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তাদের বিক্রি অব্যাহত থাকবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
আনন্দবাজার/শহক