স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ এশিয়া মহাদেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। একই সাথে গত এক দশক ধরে প্রতিবছর প্রায় ৭% হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। আজ মঙ্গলবার জাতিসংঘ শিল্প উন্নয়ন সংস্থা (ইউনিডো)’র ১৯তম সধারণ সম্মেলনে ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির কঠিন সময়ও বাংলাদেশ ২০২০ সালে ৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বলে জানান তিনি।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘২০২১-২০২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.৪ শতাংশ হবে বলে বিশ্বব্যাংক পূর্বাভাস দিয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের জিডিপির ৩০ শতাংশেরও বেশি আসছে শিল্পখাত থেকে।’
অন্তর্ভূক্তিমূলক ও টেকসই শিল্পায়নে ইউনিডোর কার্যক্রমের প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। করোনাভাইরাসের নতুন নতুন ভ্যারিয়ান্টের কারণে বিশেষত স্বল্পোন্নত দেশগুলোর উন্নয়নের গতিশীলতা কমে গেছে। এ বিষয়গুলো থেকে উত্তরণে ইউনিডোর সহযোগিতা আরও বেশি প্রয়োজন।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ বিভিন্ন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন, টেকসই শিল্পায়ন, হাইটেক পার্ক স্থাপন, রপ্তানি বহুমুখীকরণের মাধ্যমে অর্থনীতির কাঠামোগত পরিবর্তন করছে। আমরা “ডিজিটাল বাংলাদেশ” কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি; যা জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে দ্রুত গতি লাভ করেছে। জাতি হিসেবে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশনারি নেতৃত্বে আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হবার সঠিক পথেই এগুচ্ছি। এই উন্নয়নে তিনি ডি-২০ সহ ইউনিডোর সহযোগিতা কামনা করেন।’
অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে বাংলাদেশের পক্ষে অস্ট্রিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ইউনিডোতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত উপস্থিত ছিলেন।
এ সম্মেলনে প্রায় ১৭০টি সদস্য দেশের মন্ত্রীবর্গ, প্রতিনিধিবৃন্দ সরাসরি ও ভার্চুয়ালি অংশ নেন। এ সময় ইউনিডোর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় তিউনেশিয়ার মোহামেদ মাজঘানিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী।
আনন্দবাজার/শহক