রবিবার, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রিজার্ভ কমিয়ে দিচ্ছে রেমিট্যান্স

রিজার্ভ কমিয়ে দিচ্ছে রেমিট্যান্স

দেশে রফতানি আয় নিয়ে সুখবর থাকলেও রেমিট্যান্স প্রবাহ কিংবা আমদানি ব্যয় নিয়ে ভালো কোনো খরব নেই। আমদানি ব্যয় অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি অস্বাভাবিকহারে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাওয়ার কারণে ডলারের ওপর চাপ পড়েছে। আর স্বাভাবিকভাবেই দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর তার প্রভাব পড়ছে।

গেল কয়েক মাস ধরেই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিম্নমুখী। এর মধ্যে গেল আড়াই মাসেই কমেছে প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার। গত বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদন মতে, বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৪ বিলিয়ন বা চার হাজার ৪৯৫ কোটি ডলার।

তথ্যমতে, গত ১ সেপ্টেম্বর দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি। এরপর থেকে গত আড়াই মাস ধরে রিজার্ভ কমতে কমতে এসে দাঁড়িয়েছে ৪৪ বিলিয়ন ডলারে। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো গত ২৪ আগস্ট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের নতুন রেকর্ড হয়। তবে পরের মাসেই তা নেমে যেতে থাকে। গত ৮ সেপ্টেম্বরে এই রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ৪৬ বিলিয়ন ডলারে। সর্বশেষ গত ১৭ নভেম্বর এই রিজার্ভ ৪৪ বিলিয়ন ডলারের নেমে আসে।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুত থাকতে হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই আমদানি ব্যয়ে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। আর চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর এই তিন মাসে আমদানি ব্যয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ৪৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে হঠাৎ রেমিট্যান্স প্রবাহে ছন্দপতন ঘটেছে। এরই ধারাবাহিকতা আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসেও দেখা গেছে।

আরও পড়ুনঃ  এবার দরবৃদ্ধির আলোচনায় তেল-চিনি

গবেষকরা বলছেন, রফতানি আয় বাড়লেও অস্বাভাবিকভাবে আমদানি ব্যয় বেড়ে গেছে। এছাড়া রেমিট্যান্স প্রবাহে কিছুটা ধাক্কা লেগেছে। যার ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আগের মতো বাড়ছে না। তবে রিজার্ভ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। কারণ, তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো রিজার্ভ এখনও আছে।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন