রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের কাজ শীঘ্রই শুরু

দেশের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের কাজ শীঘ্রই শুরু

কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে দেশের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা। এই বন্দরে সর্বোচ্চ আকারের মাদার ভেসেল ভিড়তে পারবে। ফলে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় সাত অঙ্গরাজ্যসহ ভূটান, নেপাল ও চীনের কুনমিংও এই বন্দর ব্যবহার করতে পারবে। ২০২৬ সালের মধ্যে অন্তত তিনটি জেটি নির্মাণ করে জাহাজ ভেড়ানোর লক্ষ্যে এগুচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

দেশের আমদানি-রপ্তানির প্রায় ৯২ শতাংশ পরিবাহিত হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। বন্দরের ওপর চাপ কমাতে মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের কাজ শুরু হচ্ছে শীঘ্রই।

মাতারবাড়ী বন্দর অপারেশনে গেলে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানিকারকদের আর কলম্বো বা সিঙ্গাপুরের ট্রানজিট পোর্টের ওপর নির্ভর করতে হবে না। আর্ন্তজাতিক রুটে চলাচল করা বড় আকারের জাহাজগুলো এই বন্দরটি ব্যবহার করতে পারবে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজার টিইইউএস এর জাহাজ এই বন্দরে ভিড়তে পারবে। তাহলে চাপ আরও কমে যাবে। এই অঞ্চলে যত বন্দর আছে তাদের মধ্যে সাশ্রয়ী মূল্যে আমরা ব্যবসায়ীদের সেবা দিতে পারবো।

দেশে অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধি যেভাবে বাড়ছে তাতে করে ২০৪৩ সালের মধ্যে ১০ দশমিক ৪ মিলিয়ন অর্থাৎ ১ কোটি ৪০ লাখ টিইইউএস কন্টেনার হ্যান্ডলিং করতে হবে সমুদ্র বন্দরকে। কিন্তু এখন চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা মাত্র ৩০ লাখ টিইইউএস।

এম শাহজাহান আরও বলেন, ২০৪১ সালে মধ্যে মাতারবাড়ী ফুুল ফেইজে চলবে। সেখানে রোড থাকবে, রেলওয়ের ব্যবস্থা থাকবে, বন্দরে সকল সুুবিধা থাকবে। তাছাড়া সেখানে একটা টাউন হবে।

আরও পড়ুনঃ  ফুল-ফাগুনের বাণিজ্য

মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে সংযোগ ঘটাতে তৈরি হচ্ছে উন্নত সড়ক যোগাযোগ ও রেলপথ। মাতারবাড়ি বন্দর থেকে রেললাইন এসে যুক্ত হবে কক্সবাজার দোহাজারি রেললাইনের সঙ্গে। সংযোগ ঘটবে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কেও।

এফবিসিসিআই এর সদস্য মাহফুজুল হক শাহ বলেন, বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য এই সুুবিধাটা যদি আমরা ব্যবহার করতে পারি সঠিকভাবে, তাহলে বাংলাদেশসহ এই অঞ্চলে পুরো অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে এটা ব্যাপক প্রভাব ফেলবে।

আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে ঠিকাদার নিয়োগের মধ্য দিয়ে ২০২২ সালে শুরু হবে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের কাজ।

আনন্দবাজার/শহক

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন