মঙ্গলবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সোনাহাট স্থলবন্দর: ইমিগ্রেশন না থাকায় রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

রাজস্ব আয়ের বিপুল সম্ভাবনায় স্থলবন্দর কুড়িগ্রামের সোনাহাট। প্রতিবছর এই বন্দরের আয় বাড়লেও বেহাল সড়ক ও ঝুকিপূর্ণ সেতুর কারণে পণ্য পরিবহন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।

রাজস্ব আয়ের বিপুল সম্ভাবনায় স্থলবন্দর কুড়িগ্রামের সোনাহাট। প্রতিবছর এই বন্দরের আয় বাড়লেও বেহাল সড়ক ও ঝুকিপূর্ণ সেতুর কারণে পণ্য পরিবহন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।

ফলে ব্যাহত হচ্ছে রাজস্ব আদায়। এছাড়া বন্দরে ইমিগ্রেশন চালু না থাকায় যাত্রী পারাপার সম্ভব হচ্ছে না। ব্যবসায়ীরা যাতায়াত করতে না পারায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক।

ভারতের সেভেন সিস্টার খ্যাত রাজ্যগুলোর সাথে পণ্য আমদানি ও রপ্তানির জন্য ২০১৩ সালের ৪ঠা সেপ্টেম্বর চালু হয় দেশের ১৮তম সোনাহাট স্থল বন্দর। এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ১০টি পণ্য আমদানি ও বাংলাদেশ থেকে সকল পণ্য রপ্তানির জন্য তৈরি করা হয়েছে বন্দরের অবকাঠামো।

বন্দর চালুর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এ পর্যন্ত কয়লা ও পাথর আমদানি এবং হাতে গোনা কয়েকটি পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। বছরে আয় হচ্ছে প্রায় ১০ কোটি টাকা। ইমিগ্রেশন চালু না থাকায় ব্যবসায়ীরা যাতায়াত না করায় আমদানি ও রপ্তানির পরিমাণ বাড়ছে না।

ব্যবসায়ীরা জানান, সড়ক সেতু মেরামত না হওয়ার কারণে রপ্তানিতে অনেক বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। যোগাযোগের উন্নত ব্যবস্থা না থাকায় প্রয়োজনীয় কাজেও অনেক সময় লাগে।

কয়লা ও পাথর ছাড়া অন্যান্য উদ্ভিদজাত পণ্য আমদানির সুযোগ থাকলেও এর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না থাকায় আমদানির পরিমাণ বাড়ানো যাচ্ছে না।

সোনাহাট বন্দর সিএন্ড এফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সরকার রাকিব আহমেদ বলেন, ‘ইমিগ্রেশন না থাকার কারণে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সাথে আমাদের ভালো মতো আলোচনা করা সম্ভব হচ্ছে না। কয়লা-পাথর ছাড়া বাকিগুলো উদ্ভিদজাত পণ্য, আর একারণে কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থা না থাকায় বাকি পণ্যগুলো আনা সম্ভব হচ্ছে না।’

আরও পড়ুনঃ  বিকাশে পরিশোধ করা যাবে আয়কর

ইমিগ্রেশন চালু ও সড়ক যোগাযোগ দ্রুত উন্নয়নের মাধ্যমে বন্দরের রাজস্ব আরও বাড়বে বলে আশা বন্দর কর্তৃপক্ষের। সোনাহাট বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা উমর ফারুক বলেন, ‘রাস্তার উন্নয়ন কাজ চলছে। পুরোদমে শুরু হলে এই কাজ তাড়াতাড়ি শেষ হবে এবং রাজস্ব আরও বৃদ্ধি পাবে।’

আনন্দবাজার/শহক

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন