রবিবার, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিছুটা কমছে ৩০ কাউন্ট সুতার দাম

প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের মূল কাঁচামাল ইয়ার্নের দামের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণে একমত হয়েছে স্পিনিং মিল মালিক ও পেশাক শিল্প মালিকরা। নতুন নির্ধারিত দাম অনুযায়ী নিটওয়্যার পোশাকে বহুল ব্যবহৃত ৩০ কাউন্ট সুতা প্রতি কেজি বিক্রি হবে ৪.২০ ডলারে। শনিবার রাতে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ), বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার অ্যান্ড এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) ও বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) শীর্ষ নেতাদের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে কটনের দাম বাড়লে বা কমলে তার ভিত্তিতে ইয়ার্নের দাম ঠিক হবে। এজন্য একটি বেঞ্চমার্ক ঠিক করে দেয়া হবে, যা উভয় সংগঠনের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি ঠিক করবে।

রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ওই সভায় উপস্থিত পোশাক খাতের একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে টিবিএসকে বলেন, “সুতার সর্বোচ্চ দাম বেঁধে দেয়া হয়েছে। এর ফলে বাজারে বিক্রি হওয়া দামের চেয়ে কিছুটা কমবে”।

অপর একজন নেতা বলেন, বর্তমানে নিটওয়্যারে ব্যবহৃত হওয়া সুতা প্রতি কেজি ৪.২৫ ডলার থেকে শুরু করে ৪.৪০ ডলারে পিআই (প্রোফরমা ইনভয়েজ বা বিক্রেতা কর্তৃক প্রস্তাবিত মূল্য) ইস্যু করা হচ্ছে। সেই হিসেবে ৪.২০ ডলার নির্ধারণ করা হলে দাম কিছুটা কমবে বলেই ধরে নেওয়া যায়।

তৈরি পোশাক ও অন্যান্য শিল্পের মালিকরা আশা করছেন, এর সঙ্গে অন্যান্য কাউন্টের সুতার দামও কিছুটা কমতে পারে। সর্বোপরি এর ফলে ইয়ার্নের বাজারে একটি স্থিতিশীলতা আসার সুযোগ তৈরি হবে।

আরও পড়ুনঃ  জানুয়ারিতে ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

যোগাযোগ করা হলে বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মাদ আলী খোকন বলেন, “সুতার দাম ৪.২০ ডলারে নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বর্তমানে বেশিরভাগ স্পিনিং মিল মালিক এই দামেই সুতা বিক্রি করছেন। কেউ কেউ হয়তো ৪.২৫ ডলারে বিক্রি করছেন। তবে বিশ্ববাজারে কটনের দাম প্রতি পাউন্ড ১ ডলারের উপরে গেলে কিংবা ৮৫ সেন্টসের নিচে নামলে এর ভিত্তিতে সুতার দাম পুনঃনির্ধারিত হবে, এ বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি”।

বৈঠকে বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান, বিকেএমইএ’র সভাপতি একেএম সেলিম ওসমান, সহসভাপতি মোহাম্মাদ হাতেম, বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি কুতুবউদ্দীন আহমেদ ছাড়াও তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল খাতের কয়েকজন সিনিয়র নেতা উপস্থিত ছিলেন।

কুতুবউদ্দীন আহমেদ বলেন, সভায় একটি যৌক্তিক সমাধান এসেছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে রাজি হন নি তিনি।

বিশ্ববাজারে তুলার দাম বেড়ে যাওয়ায় গত প্রায় আট মাস ধরে ইয়ার্নের দাম ঊর্ধ্বমুখী। স্থানীয় পোশাক শিল্প মালিকদের অভিযোগ, দেশের স্পিনিং মিল মালিকরা সুতার দাম অস্বাভাবিকহারে বাড়িয়েছেন। তবে টেক্সটাইল মিল মালিকদের দাবি, কটনের দামের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই ইয়ার্নের দাম বাড়ানো হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন