করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা সামলে আরও এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে নতুন অর্থবছরের জন্য আসছে ৬ লাখ কোটি টাকার বাজেট। যেখানে গুরুত্ব পাচ্ছে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও মানবসম্পদ খাত। পরিকল্পনামন্ত্রী মনে করেন, অর্থনীতির চাহিদা এবং প্রয়োজন মেটাতে বড় ব্যয়ের বিকল্প নেই। আর বিশ্লেষকদের মতে, অর্থায়নই হবে বড় চ্যালেঞ্জ।
প্রত্যাশা ছিল, ঠিক হয়ে যাবে সবই। অর্থনীতিও ফিরবে আপন গতিতে। কিন্তু বছর না ঘুরতেই আবারো জোরালো করোনার থাবা। ফলে বদল আসে পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন, আয়-ব্যয়সহ সবকিছুতেই।
এমন অবস্থায় নতুন আরো একটি বাজেট তৈরির মহাব্যস্ততা চলছে অর্থমন্ত্রণালয়ে। গত এক বছরের অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে প্রণীত হচ্ছে আর্থিক এই দলিল। যাতে করোনার আঘাত মোকাবেলা করে অর্থনীতিকে সজীব করাই থাকছে মূল লক্ষ্য। এজন্য ব্যয় করা হতে পারে ৬ লাখ কোটি টাকার ওপরে। আর এই অর্থের মাধ্যমে প্রবৃদ্ধি নেয়ার ইচ্ছা সোয়া সাত শতাংশে।
রাজস্ব আয় নিয়ে অস্বস্তি থাকলেও নতুন অর্থবছরের জন্য সেই লক্ষ্য ধরা হচ্ছে ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটির ওপরে। আর যোগ বিয়োগ করে বাজেট ঘাটতি দাঁড়াতে পারে ২ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা।
বাজেটে স্বভাবতই স্বাস্থ্যকে রাখা হচ্ছে গুরুত্বের বিচারে সামনের কাতারে। থাকছে, শিক্ষা, মানবসম্পদসহ অবকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ নজর। এজন্য উন্নয়ন ব্যয় বা এডিপির আকার ধরা হচ্ছে সোয়া দুই লাখ কোটি টাকার বেশি। যা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত আকার থেকে বাড়ছে সোয়া ১২ শতাংশ।
তবে বড় প্রকল্প দ্রুত শেষ করতে এবারও থাকছে বাড়তি মনোযোগ। সে কারণে বছর ব্যবধানে প্রায় সাড়ে নয় হাজার কোটি বাড়িয়ে ৩৯ হাজার কোটি টাকা দেয়া হচ্ছে ফাস্টট্র্যাকের অধীনে থাকা ৮ মেগা প্রকল্পে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি থাকছে রূপপুরে, প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার কোটি। পাশাপাশি বরাদ্দ বেড়েছে পদ্মা, মাতারবাড়ি, পায়রা প্রকল্পেও।
নতুন বাজেটে সোয়া এক লাখ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকতে পারে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে।
আনন্দবাজার/শহক