বেনাপোল কাস্টম হাউজের ভল্ট থেকে ১৯ কেজির বেশি স্বর্ণ চুরি হয়েছে । পুলিশ ও কাস্টম হাউজ কর্তৃপক্ষ ধারণা করছেন, টানা তিনদিন সরকারি ছুটি থাকার ফলে চোর চক্র এই সময়ের মাঝে ভল্ট ভেঙে স্বর্ণ নিয়ে গেছে । কাস্টমসের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সরকারি অন্যসব অফিসের মতো বেনাপোল কাস্টম হাউজও শুক্র থেকে রবি তিনদিন টানা বন্ধ ছিল। সোমবার অফিস খুলেই কাস্টম হাউজের কর্মকর্তারা ভল্টটি খোলা দেখতে পান । পরে ভল্ট পরীক্ষা করে ১৯ কেজি ৩৮৫ গ্রাম স্বর্ণ চুরি হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হন তারা । চুরি যাওয়া এ স্বর্ণের বাজারদর প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা।
এ ঘটনায় গত সোমবার বেনাপোল কাস্টম হাউজে যান আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা। বিকালের দিকে তারা ভল্টরুমে প্রবেশ করেন । হাত-পায়ের ছাপ নির্ণয় করার পর কী কী চুরি হয়েছে তার তল্লাসি করেন।
বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি মামুন খান বলেন, অবৈধ পথে আসা স্বর্ণ বা বৈদেশিক মুদ্রা আটক করার পর সেগুলো কাস্টমসের ভল্টে রাখা হয়। কাস্টম হাউজের ওই ভল্টে জব্দকৃত ৩০ কেজি স্বর্ণ ও বৈদেশিক মুদ্রা, কষ্টিপাথরসহ মূল্যবান দলিলপত্র ছিল । সোমবার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত দীর্ঘ অনুসন্ধান করে ১৯ কেজি ৩৮৫ গ্রাম স্বর্ণ কম পাওয়া গেছে ।
কিন্তু নিরাপত্তা ও সিসি ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে চুরি হলো? এমন প্রশ্নের উত্তরে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, টানা তিনদিন সিসি ক্যামেরা বন্ধ ছিল । তাই সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দিয়ে চোর চক্রকে শনাক্ত করা যাচ্ছে না। কিন্তু তদন্ত করে ধরা হবে চোর চক্রকে ।
অন্যদিকে স্বর্ণ চুরি যাওয়ার ঘটনায় বেনাপোল কাস্টম হাউজ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে একটি মামলা করা হয়েছে। সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা জিএম আশরাফ বাদী হয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় গতকাল মামলাটি করেন।
আনন্দবাজার/এফআইবি