বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারের কলাতলী থেকে নাজিরারটেক পর্যন্ত এলাকা বদলে যাচ্ছে। এসব এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড সুড়ঙ্গের আদলে ১২ ফুট উচ্চতায় বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে।
জানা গেছে, ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে আধুনিক এ বাঁধ নির্মাণ করা হবে। যেখানে থাকবে ওয়াকওয়ে, সাইকেল বে, গাড়ি পাকিং, প্রদর্শনী মঞ্চ। এছাড়া বাঁধের ভেতরে থাকবে কিডস জোন, তথ্য কেন্দ্র, লকার রুম, লাইফ গার্ড পোস্ট, ওয়াশরুম। বালিয়াড়িতে কোনো প্রকার স্থাপনা থাকবে না। সকল প্রকার স্থাপনা চলে যাবে বাঁধের অভ্যন্তরে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া তথ্যানুযায়ী, ১২ কিলোমিটার মাল্টিফাংশনাল বাঁধ কাম রোডটি থাকবে ৫ কিলোমিটার সাইকেল বে, ৪.৮০ কিলোমিটার ওয়ার্কি বে, ৮টি ফুটওভার ব্রিজ, ৭ শত সিটিং ফ্যাসিলিটি, ১টি ল্যান্ডস্কেপ, ১টি প্রদর্শনী স্থান, ১০টি তথ্যকেন্দ্র, ১টি শিশুপার্ক, ১টি বাস পার্কিং স্থান, ১টি আলোকসজ্জা, ১টি ইটিপি সমৃদ্ধ পানি ব্যবস্থাপনা, ১টি একুইরিয়াম, বাইরের রেস্তোরাঁ ১টি, ১৮টি লাইভ গার্ড স্টেশন, ১০টি ভাস্কর্য।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারের মুল পয়েন্ট কলাতলী থেকে নাজিরারটেক। যেখানে মূলত বেশি পর্যটক ভিড় করেন। তবে এ ১২ কিলোমিটার এলাকা শুরু তীব্র ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিনিয়ত ঢেউয়ের আঘাতে বিলীন হচ্ছে ঝাউগাছসহ বালিয়াড়ি। প্রশাসনের পক্ষে জিও ব্যাগ দিয়ে তা রক্ষার চেষ্টা করা হলেও কার্যত রক্ষা হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে পরিবেশবাদী সংগঠন এনভায়রনমেন্ট পিপল এর প্রধান নির্বাহী রাশেদুল মজিদ জানান, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত এ ভাঙন। এটা রোধে পরিবেশ ও পর্যটনবান্ধব পরিকল্পনা নিতে হবে দ্রুত সময়ের মধ্যে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী বলেন, ভাঙন রোধে পর্যটন এবং পরিবেশবান্ধব প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে আধুনিক এ বাঁধ নির্মাণ করা হবে। যেখানে ১২ কিলোমিটার এলাকায় মাল্টি ফাংশনাল বাঁধ কাম রোড থাকবে। চলিত মাসে প্রকল্পের কাজ শুরু করে ২০২৪ সালে জুন মাসে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।
আনন্দবাজার/টি এস পি