শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বুলবুলের প্রভাবে চট্টগ্রাম বন্দরে শতকোটি টাকার ক্ষতি

প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে তিনদিন বন্ধ ছিল চট্টগ্রাম বন্দরের সব ধরনের অপারেশনাল কার্যক্রম। বন্দরের বহির্নোঙরের পণ্য ওঠা-নামাও ছিল স্থির। এতে করে শত কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি  করছে ব্যাবসায়িরা।

এইদিকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের বিপদ সংকেত ৩ নম্বরে নামিয়ে আনায় দেশের মানুষের মতো স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের মাঝেও। সাগর উত্তাল থাকায় বড় দুর্ঘটনা এড়াতে বৃহস্পতিবার সকালেই বন্দরের বহিনোঙরে অবস্থান করা ৫৫টি জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানামা বন্ধ করে দেয় ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল। আর শুক্রবার বিকেল থেকে সম্পূর্ণ অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ।

প্রধান জেটিতে অবস্থানরত ১৬টি জাহাজকে  শনিবার সকালে পাঠিয়ে দেয়া হয় গভীর সাগরে। এইদিকে রবিবার সকালে বিপদ সংকেত তুলে নেয়ার পর দুপুর থেকে শুরু হয় বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, আমরা আমাদের লোকজনদের অ্যাকটিভলি কাজ করতে বলবো। তাছাড়া বন্দর ব্যবহারকারী যারা আছে তাদের বলবো তারা যেন অতিরিক্ত সময় কাজ করে মালামাল নিয়ে গিয়ে ইয়ার্ডটাকে জটমুক্ত করে।

বন্দরে শুধুমাত্র জোয়ারের সময় জাহাজ প্রবেশ করতে পারে। আর আজ জোয়ার ছিল দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। যে কারণে আজকের দিনটাকেও তেমনভাবে কাজে লাগানো যায়নি। এছাড়া জাহাজগুলোকে নির্ধাবরিত সময়ের বাইরে বন্দরে অবস্থান করায় জরিমানা গুণতে হবে জাহাজ মালিকদের।

ডব্লিউটিসি’র কো কনভেনার শফিক আহমেদ জানান, প্রতিদিন আমাদের অন্তত ২ কোটি টাকা করে ক্ষতি হয়েছে।

বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন বলেন, প্রাকৃতিক কারণে এই ক্ষতি হলেও শেষ পর্যন্ত আমদানিকারক-রফতানিকারকদেরকেই সেটা বহন করতে হবে। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের ধকল কাটিয়ে ৮০টির বেশি জাহাজ বন্দরে বার্থিংয়ের অপেক্ষায় রয়েছে। আর বন্দরের ইয়ার্ডে ডেলিভারির অপেক্ষায় রয়েছে ১৫ হাজারের বেশি কন্টেইনার।

আরও পড়ুনঃ  গুগল সার্চিংয়ে সবার শীর্ষে সাকিব

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন