বিদেশে শ্রমিক পাঠানোর খরচ কমানোর আহ্বান জানিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। একই সঙ্গে কী পরিমাণ রেমিটেন্স প্রবাহিত হচ্ছে, তা বিবেচনা না করে বাংলাদেশ থেকে বিপুল ব্যয়ে শ্রমিক পাঠানোর মূল্য তার উপযুক্ত প্রাপ্য দিয়ে সমাধান করা উচিত বলে মনে করে প্রতিষ্ঠানটি।
আজ রোববার এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ আয়োজিত ‘সাম্প্রতিক প্রবাসী আয়/রেমিটেন্স প্রবাহ: এত টাকা আসছে কোথা থেকে?’ শীর্ষক এক ভার্চ্যুয়াল সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি বলেন, প্রবাসে যাওয়া শ্রমিকদের পেছনে বেশি ব্যয় এবং তাদের পরিবারের প্রকৃত রেমিটেন্স সুবিধার বিষয়টি আমাদের মাথায় রাখতে হবে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যা ব্যুরোর ২০২০ সালের জুলাই মাসের ‘কস্ট অব মাইগ্রেশন সার্ভে’ অনুসারে একজন শ্রমিকের বিদেশে যেতে গড়ে খরচ হয় ৪ লাখ ১৭ হাজার টাকা বা পাঁচ হাজার মার্কিন ডলার। এ পরিমাণ অর্থ আয় করতে একজন শ্রমিকের গড়ে ১৭ মাসের বেতন লাগে।
সপ্তম পঞ্চ-বার্ষিক পরিকল্পনা মতে, আমরা যদি বিবেচনা করি বছরে ৭ দশমিক ৪ লাখ শ্রমিকের বিদেশে যেতে ব্যয় হয় ৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার। যা বছরে এসব শ্রমিকের পাঠানোর রেমিটেন্সের ২৪ শতাংশ বা ১৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার।
কোভিড-১৯ মহামারির ধাক্কায় পুরো বিশ্বের অর্থনীতি পর্যুদস্ত। কমে গেছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য। বিপুলসংখ্যক প্রবাসী শ্রমিক কাজ হারিয়ে দেশে ফিরেছেন। বিপুল সংখ্যক তাদের কর্মস্থলে ফিরে যেতে পারেননি। প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে এর প্রভাব নিয়ে সবাই শঙ্কিত ছিলেন। এ কারণে বিশ্বব্যাপী প্রবাসী আয় হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা হয়েছিল।
আনন্দবাজার/শহক