ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অস্থির ভোজ্য তেলের বাজার

গত বছরের শেষ থেকে বাড়তে শুরু করেছে ভোজ্য তেলের দাম। ডিসেম্বরে ভোজ্য তেলের দাম আগের মাসের চেয়ে ৪.৭ শতাংশ বেড়েছে। এর আগের মাস নভেম্বরে বেড়েছে ১৪.০ শতাংশ। পুরো ২০২০ সালে ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে ১৯.১ শতাংশ।

এফএও’র সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্ববাজারে ভোজ্য তেলের দাম বাড়ছে তিন কারণে। সরবরাহ ঘাটতি, রফতানি কর বৃদ্ধি ও চীনের বিপুল ক্রয়ের কারণে বিশ্ববাজারে সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বাড়ছে। সয়াবিনের অন্যতম বৃহৎ রফতানিকারক দেশ আর্জেন্টিনায় সরকারের সঙ্গে কৃষকদের দ্বন্দ্বে ধর্মঘট চলায় সয়াবিনসহ বিভিন্ন পণ্য রফতানি প্রায় বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া সয়াবিন রফতানিতে কর বাড়িয়ে ৩৩ শতাংশ করেছে আর্জেন্টিনা। এতে গত মঙ্গলবার বিশ্ববাজারে সয়াবিনের দাম ৩ শতাংশ বেড়ে ১৩.৭৩ ডলার পর্যন্ত ওঠে, যা ২০১৪ সালের জুলাইয়ের পর সর্বোচ্চ দাম।

বিশ্ববাজার থেকে চীন বিপুল পরিমাণ সয়াবিন ক্রয় করেছে। এদিকে ব্রাজিলসহ দক্ষিণ আমেরিকার অনেক দেশে খরায় উৎপাদন কমার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অভ্যন্তরীণ বাজার ঠিক রাখতে ব্রাজিল ও আমেরিকা বিশ্ববাজারে সরবরাহ কমিয়েছে।

কৃষিবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ইডিঅ্যান্ডএফ ম্যান এর চার্লি সারনেটিসজার বলেন, এই মুহৃর্তে ব্রাজিল ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় দেশগুলোতে কৃষকের হাতে খুব বেশি সয়াবিন নেই। ফলে নিজেদের সংকটের শঙ্কায় তারা বিশ্ববাজারে সরবরাহ করছেন কম। সবাই নতুন ফসলের অপেক্ষায় আছেন।

অন্যদিকে প্রতিকূল আবহাওয়া ও শ্রম সংকটের কারণে মালয়েশিয়া পাম তেল উৎপাদন কমিয়েছে। এছাড়া দেশটির পাম তেল রফতানি কর ৬.৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৮ শতাংশ করা হবে। এতে প্রতি টন রফতানিতে শুল্ক পড়বে ৬৮ ডলার। ফলে বিশ্ববাজারে আরও বাড়তে পারে সয়াবিন ও পাম তেলের দাম।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন