নতুন বছরের প্রথম দিন পর্যন্ত দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ছাড়িয়েছে ২৩ হাজার মেগাওয়াট। এর মাধ্যমে শতভাগ বিদ্যুতায়নের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ফলে সারাদেশের সব ঘরে বিদ্যুতায়নের ঘোষণা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
এছাড়া শতভাগ জনপদে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এই তালিকায় বাংলাদেশের বহু পেছনে পড়ে আছে ভারত ও পাকিস্তানের মতো দেশও। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই এই মাইলফলক স্পর্শ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাশিয়ার সহায়তা নিয়ে দেশের বিদ্যুৎ খাত পুনর্গঠন করেন। এরই ধারাবাহিকতা রক্ষা করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফলে তার হাত ধরেই বাংলাদেশ শতভাগ বিদ্যুতায়নের রেকর্ড করতে চলেছে।
এ সফলতার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যখন প্রথম ক্ষমতায় আসে ১৯৯৬ সালে, তখন দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের অবস্থা ছিল তথৈবচ। সেবারই প্রথম ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার (আইপিপি) নীতি গ্রহণ করা হয়। সে সময় শেখ হাসিনা দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বার্জ মাউন্টেড বিদ্যুৎ নিয়ে আসেন।
তৌফিক ই ইলাহি বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত জামায়াত-বিএনপি এসব প্রকল্প বন্ধ করে দেয়। ফলে দেশের মানুষ নতুন করে বিদ্যুতের সংকটে ভুগতে থাকে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় এসে বিদ্যুৎ খাত পুরোপুরি বদলে দেয়। যার ফল হলো এই শতভাগ বিদ্যুতায়ন। আগামী মার্চের মধ্যে দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বলবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে এখন পর্যন্ত ২৮৮টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়ন উদ্বোধন করেছেন। বাকি ১৭৩টি উপজেলায়ও বিদ্যুৎ চলে গেছে। কিন্তু এসব জায়গায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিদ্যুতায়ন উদ্বোধন করা হবে।
বিদ্যুৎ বিতরণকারী সংস্থা আরইবির তথ্যানুযায়ী, তাদের গ্রিডভুক্ত ৪৬১টি উপজেলা এখন পর্যন্ত পুরোপুরি বিদ্যুৎ পেয়েছে। অফগ্রিডে থাকা পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলায় বিদ্যুতায়নের কাজ চলছে। এসব এলাকাসহ এখন দেশে ১৪০টি বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। এছাড়াও আরও কয়েকটি কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে।
আনন্দবাজার/টি এস পি