চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারির পর থেকে থেমে থেমে চলা দরপতন ২০১০ সালের চেয়েও মহাধসে পরিণত হয়েছে। এই ধসে বাজার মূলধন অর্থাৎ বিনিয়োগকারীদের পুঁজি উধাও সাড়ে ৬০ হাজার কোটি টাকা।
লেনদেন ১ হাজার কোটি থেকে কমে ৩০০ কোটি টাকার নিচে অবস্থান করছে। এতে বাজার ছেড়েছেন দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। যারা এখনো বাজারে রয়েছেন তারাও নিষ্ক্রিয়। তাই লোকসান পোহাতে না পেরে শাখা অফিসগুলো বন্ধ করে দিচ্ছে ব্রোকারেজগুলো । ছাঁটাই করা হয়েছে হাজার হাজার অফিস কর্মীদের ।
ডিএসইর একাধিক সদস্য বলেন, পুঁজিবাজারে পুঁজি হারিয়ে বিনিয়োগকারী এবং স্টক এক্সচেঞ্জগুলো ধুঁকে ধুঁকে মরছে কিন্তু কমিশন সেই দিকে নজর দিচ্ছে না। বরং তারা ব্যস্ত রয়েছে প্রমোদ ভ্রমণে।
এই বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘দুটি প্রোগ্রামে কক্সবাজার যাচ্ছেন কমিশনের অফিসাররা। একটি হচ্ছে মন্ত্রণালয়ের শুদ্ধাচার প্রোগ্রাম ও অন্যটি মানি লন্ডারিংয়েরর বিষয়ে কর্মশালা। এটি কোনো প্রমোদ ভ্রমণ নয়। পূর্ব নির্ধারিত সরকারি প্রোগ্রাম।
অন্যদিকে, বিএসইসিকে অনুসরণ করেই পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক দরপতনে যখন বিনিয়োগকারীরা দিশেহারা- ঠিক এই সময়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) একটি প্রতিনিধি দল কনফারেন্সের নামে প্রমোদ ভ্রমণে চীনে যাচ্ছেন। তা নিয়ে খোদ ডিএসইর সদস্য ও পরিচালকদের মধ্যে বিরাজ করছে ক্ষোভ।