করোনাভাইরাস মোকাবেলায় দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। আর বিশ্বে এই অবস্থান ২০তম। প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ব্লুমবার্গ প্রকাশিত ‘কোভিড রেজিলিয়েন্স র্যাংকিং’-এ তথ্য উঠে এসেছে।
র্যাংকিংয়ে ভারত-পাকিস্তান জায়গা পেয়েছে নিচের সারিতে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি, সৌদি আরবের মতো দেশগুলোর চেয়েও এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনৈতিক আঘাত মোকাবেলায় সক্ষমতাসহ বিভিন্ন সূচকের ওপর ভিত্তি করে গত কয়েক মাস ধরে করোনা সহনশীল দেশের আন্তর্জাতিক র্যাংকিং প্রকাশ করছে ব্লুমবার্গ। গত মাসে (নভেম্বরে) বিশ্বে ২৪তম স্থানে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু মাত্র এক মাসের ব্যবধানে চারধাপ উপরে উঠে এসেছে।
ব্লুমবার্গের হিসেবে, বাংলাদেশের মাত্র ৫ শতাংশ মানুষ করোনা ভ্যাকসিন সুবিধার আওতায় রয়েছে। দেশটির প্রতি লাখে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪ জন। মাসে মৃত্যুহার ১ দশমিক ৬ শতাংশ। প্রতি ১০ লাখে মারা গেছেন ৪৪ জন।
তবে জীবনযাত্রার মান নির্ণায়ক সূচকগুলোর মধ্যে জিডিপি আর যোগাযোগ ব্যবস্থার গতির দিক থেকে এগিয়ে থাকলেও ব্লুমবার্গের হিসেবে বাংলাদেশ এখনও পিছিয়ে রয়েছে জনজীবনে লকডাউনের প্রভাব আর স্বাস্থ্যসেবার মানের দিক থেকে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের পরে ২৯ নম্বরে রয়েছে পাকিস্তান। ভারত রয়েছে ৩৯ নম্বরে। তবে ভ্যাকসিনপ্রাপ্তির দিক থেকে ভারত-পাকিস্তান দু’দেশই বাংলাদেশের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে।
করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুহার নিয়ন্ত্রণ এবং ভ্যাকসিন প্রাপ্তির নিশ্চয়তার সূচকে ভালো স্কোর গড়ে র্যাংকিংয়ে শীর্ষে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। তাদের সংগ্রহ ৮৫ দশমিক ৬ পয়েন্ট। দ্বিতীয় স্থানে থাকা তাইওয়ানের স্কোর ৮২ দশমিক ৪। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া (৮১)।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস