টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে শুরু হয়েছে দু দিনের জোড় ইজতেমা। শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে আম বয়ানের মধ্য দিয়ে মাওলানা যোবায়েরের অনুসারীদের এই ইজতেমা শুরু হয়। আগামীকাল শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে জোড় ইজতেমার প্রথম পর্ব।
এবার করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় মুসল্লিদের মাস্ক পরা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। টিনসেডের বাইরে কোনো মুসল্লিকে অবস্থান না করতে বলা হয়েছে।
এ জোড় ইজতেমায় অংশ নিয়েছেন ঢাকার কাকরাইল জামে মসজিদের পেশ ইমাম শুরা-ই-নেজামের তত্ত্বাবধানে ও তাবলিগ জামাতের শীর্ষস্থানীয় মুরব্বি হাফেজ মাওলানা যোবায়ের আহম্মেদের অনুসারীরা। পাকিস্তান ও ভারতের ছিল্লাধারী মুসল্লিরা এতে অংশ নিতে ময়দানে অবস্থান নিয়েছেন।
এছাড়া এই জোড় ইজতেমায় অংশ নিয়েছেন চারটি জেলার মুসল্লিরা। এর মধ্যে ঢাকা জেলা থেকে আড়াই হাজার, গাজীপুর জেলা থেকে সাতশ, টাঙ্গাইল জেলা থেকে চারশ এবং মানিকগঞ্জ জেলা থেকে চারশ মুসল্লি অংশ নেয়ার কথা নির্দিষ্ট করা আছে। সব মিলিয়ে মোট চার হাজার মুসল্লি অংশ নিতে পারবেন এই জোড় ইজতেমায়।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন ছিল্লার সাথীদের ইজতেমা ময়দানে পরামর্শ সভা করার জন্য শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস