জলবায়ুর পরিবর্তন প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশ ৫০০ কোটি ডলার ব্যয় করছে, বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমরা জলবায়ু পরিবর্তন সংবেদনশীল প্রকল্পের জন্য ২০০ কোটি ডলার ও অভিযোজন ব্যবস্থার জন্য ৩০০ কোটি তিন ডলার খরচ করছি।
জানা গেছে, গত শনিবার ‘ভার্চুয়াল সামিট অন ফাইভ ইয়ার অ্যানিভার্সারি অব দ্য প্যারিস এগ্রিমেন্ট’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় এ তথ্য জানান তিনি।
শেখ হাসিনা আরও জানান, আজ আমরা ঐতিহাসিক প্যারিস চুক্তির ৫ম বার্ষিকী উদযাপন করছি। দুর্ভাগ্যক্রমে আমরা এই চুক্তির আওতায় আমাদের নির্ধারিত লক্ষ্যগুলোর কাছাকাছিও পৌঁছাতে পারিনি। বাস্তবতা হলো আমরা বসে থাকলেই জলবায়ু পরিবর্তন বিরতি দেবে না বা তার বিরূপ প্রভাব থেকে আমাদের মুক্তি দেবে না। অনেক প্রতিবন্ধকতা নিয়েও অভিযোজন ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বনেতা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
তিনি জানান, বাংলাদেশে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দেশব্যাপী ১ কোটি ১৫ লাখ চারা রোপণ করছি। সেই সাথে ইতোমধ্যে সুরক্ষিত টেকসই ভবিষ্যতের জন্য সম্পদের যোগান দিতে মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান নামে একটি কর্মসূচিও চালু করেছি। আমাদের প্রতিশ্রুতি ও অভিযোজন উচ্চাভিলাষ যথেষ্ট পরিমাণে বৃদ্ধিতে, আমরা প্রশমন প্রক্রিয়ায় বিদ্যমান বিদ্যুৎ, শিল্প ও পরিবহন খাত ছাড়াও আরও কয়েকটি সম্ভাব্য খাতকে অন্তর্ভুক্ত করেছি। আমাদের জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনাও চূড়ান্ত করেছি।
এছাড়া ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাংলাদেশে সিভিএফ ‘মিডনাইট সারভাইভাল ডেডলাইন ফর দ্য ক্লাইমেট’ চালুর কথা তুলে ধরে প্রতিটি দেশকে ৩১ ডিসেম্বর মধ্যরাতের মধ্যে বর্ধিত প্রতিশ্রুতির ঘোষণা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে