আগামী জানুয়ারির প্রথম দিকেই বাংলাদেশ করোনার ভ্যাকসিন পাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস মিলনায়তনে ১২ ডিসেম্বর হতে দেশব্যাপী হাম-রুবেলা ক্যাপেইন-২০২০ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মুহাম্মদ খুরশীদ আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মানান, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আলী নুর।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বিসিপিএস এর প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. কাজী দীন মুহাম্মদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমএনসিঅ্যান্ডএইচ অপারেশনাল প্ল্যানের লাইন ডাইরেক্টর ডা. মো. শামসুল হক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসুচি (ইপিআই)-এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মওলা বকস চৌধুরীসহ নানা উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিগণ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, করোনায় অধিকাংশ দেশের অর্থনীতি খারাপ অবস্থা তৈরি হলেও বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেক ভালো রয়েছে। যে কারণে দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত আছে।
তিনি আরও জানান, ভ্যাকসিনের কারণে বাংলাদেশ গড় আয়ু বৃদ্ধি পাচ্ছে, ভ্যাকসিনের মাধ্যমে শিশু-মায়ের মৃত্যু ঝুঁকি কমে আসছে। দেশের ৯০ শতাংশ শিশুকে ভ্যাকসিনের অধীনে আনা হয়েছে। ভ্যাকসিনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভ্যাকসিন হিরো উপাধি অর্জন করেছে উল্লেখ করে জাহিদ মালেক জানান, এটা স্বাস্থ্যখাতের জন্য বড় একটা কৃতিত্ব।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, অতীতে সরকার কর্তৃক বেশ কয়েকবার দেশব্যাপী হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন পরিচালিত হওয়া সত্ত্বেও বিগত কয়েক বছরে দেশে হাম ও রুবেলা রোগের প্রকোপ ও আক্রান্তের সংখ্যা দুটিই বেড়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণকল্পে এবং ২০১৩ সাল নাগাদ দেশ থেকে হাম-রুবেলা দূরীকরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের নিমিত্তে সরকার আগামী ১২ ডিসেম্বর হতে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশব্যাপী এই হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন ২০২০ পরিচালনা করতে যাচ্ছে।
তবে করোনা ভ্যাকসিন পেতে সরকারের সকল প্রস্ততি রয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নান জানান, ইতোমধ্যে আমরা সাড়ে ৪ কোটি মানুষদের টিকা নিশ্চিত করতে সফল হয়েছি।আর টাকা না আসা পর্যন্ত মাস্কই একমাত্র ভরসা।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে
