ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজধানীর খাল নিয়ে যা করবে দুই সিটি

রাজধানীর খাল নিয়ে যা করবে দুই সিটি

রাজধানীর খালগুলো বর্তমানে ময়লার ভাগাড়। নতুনভাবে পরিকল্পিত সংস্কারের মাধ্যমে এগুলোতে পানির প্রবাহ সৃষ্টি করতে চায় সিটি  কর্পোরেশন। খাল এবং পানি নিষ্কাশন চ্যানেল সংরক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনকে।

এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে খালের দখল, দূষণ রোধ করে জলজট নির্মূল করতে পরিকল্পনাও করছে দুই সিটি কর্পোরেশন।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম জানান, খালের ২ পাড়ে গাছ লাগিয়ে, ওয়াকওয়ে, সাইকেল লেন তৈরি করে দখল রোধ করব। নতুন ওয়ার্ডগুলোর খালে আমরা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। ঢাকার খাল দখলমুক্ত করে নাব্য ফিরিয়ে আনতে হবে। অনেক স্থানে খালের প্রস্থ ২ ফুট পরিমাণ। খাল পরিচ্ছন্ন করে ওই এলাকাবাসীকে তার দায়িত্ব দেব। খাল পরিষ্কার করে আলমারি, সোফা, টেলিভিশন পর্যন্ত পেয়েছি। খাল দূষিত করলে তাদের জরিমানা করা হবে।

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম জানান, এক সময় খালের দায়িত্ব সিটি কর্পোরেশনের হাতেই ছিল এবং আইনেও তাই আছে। কিন্তু পরে রাষ্ট্রপতির আদেশে সেটি ঢাকা ওয়াসার হাতে দেওয়া হয়। এখন ২ সিটির মেয়র খালের দায়িত্ব নেওয়ার ব্যাপক আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাই সবাই মিলে আলোচনায় বসে আমরা ওয়াসা থেকে ২ সিটির কাছে খালগুলো হস্তান্তরের ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতোমধ্যে হস্তান্তর কাজটি সম্পন্ন করতে একটি কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

জানা গেছে, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি থেকে ৪ জন করে আটজন, ঢাকা ওয়াসা থেকে চারজন এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ ইবরাহিমকে আহ্বায়ক ও মোহাম্মদ সাঈদ উর রহমানকে সদস্য সচিব করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠিত এ কমিটি সিটি কর্পোরেশন কীভাবে কাজ করবে, ওয়াসা কীভাবে দায়িত্ব হস্তান্তর করবে, সে ব্যাপারে প্রতিবেদন দেবে।

সে অনুযায়ী সকল আইন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। দায়িত্ব পাওয়ার পর দুই সিটি কর্পোরেশন খালের সকল রক্ষণাবেক্ষণ করবে। পানি নিষ্কাশনের জন্য জনবল, যন্ত্রপাতিসহ সবকিছুই সিটি কর্পোরেশন কাছে আছে এবং তাদের সক্ষমতাও আছে।

ওই বৈঠকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস জানান, আমরা অনেক দিনের পুঞ্জীভূত সমস্যা নিরসনে একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্তে আসতে পেরেছি। ৩০ বছরের বেশি সময় ঢাকাবাসী ব্যাপক দুর্ভোগে নিমজ্জিত ছিল। আমি আশাবাদী, সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের কাজের মাধ্যমে অচিরেই রাজধানীবাসীকে এর সুফল দিতে পারব।

ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান জানান, ১৯৮৮ সালে রাষ্ট্রপতির একটি সিদ্ধান্ত ছিল খাল ও পানি নিষ্কাশন চ্যানেলের দায়িত্ব ওয়াসাকে দিয়ে দেওয়া। আমরা ২০০৯-১০ সালে দায়িত্বে আসার পর ২০১২ সাল থেকে অনেকবার বলেছি এটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সিটি কর্পোরেশনকে হস্তান্তর করা হোক। বর্তমানে সেটির নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন