রাজধানীর সীমান্তবর্তী এলাকায় ১০টি টার্মিনাল নির্মাণ করার প্রস্তাব করেছে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটি। ওই কমিটি মনে করে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকাতে আন্তঃজেলা বাস ঢুকবে না। নির্ধারিত বাস টার্মিনালে যাত্রী নামিয়ে বাসগুলো তাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে চলে যাবে। এতে নগরের গণপরিবহনে শৃঙ্খলার পাশাপাশি কমবে যানজট।
তবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার আগে আরও ভালো করে সম্ভাব্যতা যাচাই করার কথা বলছেন গণপরিবহন বিশেষজ্ঞরা। তারা জানান, এই প্রকল্পে অবকাঠামোগত উন্নয়ন বড় ব্যাপার নয়, তার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করাই গুরুত্বপূর্ণ।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর যানজট নিরসনে বাস রুট রেশনালাইজেশন করার জন্য ১০ সদস্যের একটি কমিটি করেন। কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তৎকালীন মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। এরপর কমিটি বাস্তবতা সমীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পরামর্শক নিয়োগ করে।
বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটি সূত্র জানিয়েছে, সায়েদাবাদ, মহাখালী এবং গাবতলী টার্মিনালে দেড় হাজার বাসের ধারণক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে টার্মিনাল তিনটিতে প্রতিদিন নয় হাজার ২৯৮টি বাস রাখা হয়। আরও কয়েক হাজার বাস নগরীর নানা সড়কেই পার্কিং করা হয়। যানজটের বড় একটা কারণ এটা। ফলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ঢাকা শহরের সীমান্তবর্তী এলাকায় নতুন করে আরও ১০টি টার্মিনালের প্রস্তাব করা হয়েছে কমিটির তরফ থেকে।
এগুলো হচ্ছে- বিরুলিয়া (১৪ দশমিক ৫৩ একর), কাঁচপুর উত্তর (১৫ দশমিক ৪৬ একর), গাজীপুর (১১ দশমিক ৭০ একর), কাঁচপুর দক্ষিণ (২৭ দশমিক ৭১ একর), কেরানীগঞ্জের বাঘৈর (৩৩ দশমিক ৬৩ একর), কাঞ্চন এলাকা (২৪ দশমিক ২৪ একর), সাভারের হেমায়েতপুর (৩৬ দশমিক ৫০ একর), নবীনগর-চন্দ্রা রোডের বাইপাইল (৪০ দশমিক ৪০ একর), আটিবাজারের ভাওয়াল (২৫ দশমিক ৭৮ একর) এবং ভুলতা (২৪ দশমিক ২২ একর)।
এই বিষয়ে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত জানান, ওই ৩ টি বাস টার্মিনাল নগরের ভেতর যেসব পরিবহন চলবে, সেগুলোর জন্য ব্যবহার করা হবে। ফলে রাস্তার ওপর কোনো গাড়ি পার্কিং করা লাগবে না। আর যানজটেরও সৃষ্টি হবে না। আর এই বাস রুট রেশনালাইজেশন করার জন্য সহমত পরিবহন মালিকরা। এতে ঢাকার মূল শহরের ওপর গাড়ির চাপ কমবে। আগামী বছরের মধ্যেই বাস রুট রেশনালাইজেশন কার্যক্রম দৃশ্যমান হবে।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে