ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনাভাইরাসের সুরক্ষা সামগ্রীতে ভেজাল

দেশে নকল হচ্ছে মরণঘাতী করোনাভাইরাসের সুরক্ষা সামগ্রী। ফ্লেভার, রং ও স্পিরিট মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার। বেশ কয়েকবার র‌্যাব এবং ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের অভিযানে এসব নকল পণ্য নষ্ট করা হলেও থেমে নেই অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য।

স্যানিটাইজার, মাস্ক, গ্লাভসসহ নানা ধরনের সুরক্ষাসামগ্রী এখন আমাদের নিত্যদিনের অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে। এসব পণ্যের চাহিদা বেড়েছে ব্যাপকহারে। বাজারের এই চাহিদার সুযোগে নামিদামি কোম্পানির লেভেল লাগিয়ে অপরাধী সিন্ডিকেট তৈরি করছে নকল পণ্য।  নকল পণ্য বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।

র‌্যাব সদর দফতরের জানায়, করোনা সংক্রমণের পর থেকে এখন পর্যন্ত নকল করোনাসামগ্রী প্রস্তুতকারকদের বিরুদ্ধে ২৬টি অভিযান চালিয়েছে তারা। মামলা হয়েছে মোট ৮১টি। সরাসরি কারাগারে পাঠানো হয়েছে ২৪ জনকে।

এ ব্যাপারে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, যারা করোনার মতো বৈশ্বিক মহামারিকে পুঁজি করে অল্প সময়ের মধ্যে অধিক মুনাফা অর্জনের অপপ্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে র‌্যাব কঠোর ব্যবস্থা নেবে। করোনার নকল সুরক্ষাসামগ্রীর বিরুদ্ধে অভিযান আরও বেগবান হবে। এই চক্রের বিরুদ্ধে নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য-অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. নাসরিন সুলতানা বলেন, করোনা থেকে বাঁচতে হলে প্রতিরোধের ওপর নজর রাখা জরুরি। কিন্তু যেসব সামগ্রী ব্যবহার করে প্রতিরোধ করা হবে তা যদি নকল হয়, তাহলে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়বে। নকল পণ্য তৈরি করে মানুষকে ধোঁকা দেওয়া আমাদের চরিত্রের অংশ হয়ে গেছে। করোনার মতো মহামারির সময় কেউ কেউ মানুষকে এই ধোঁকা দিয়ে যাচ্ছে। বিবেক ও আর নৈতিক মানদণ্ড না বাড়ালে এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া কঠিন।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন