ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংশোধন করা হয়েছে ‘শেখ হাসিনা তাঁতপল্লী স্থাপন’ প্রকল্প

সংশোধন করা হয়েছে ‘শেখ হাসিনা তাঁতপল্লী স্থাপন’ প্রকল্প। জমির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়া, আনুষঙ্গিক কিছু ব্যয় হ্রাস ও প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বৃদ্ধির প্রস্তাবসহ ৬ কারণে ‘শেখ হাসিনা তাঁতপল্লী’ স্থাপন প্রকল্পে সংশোধন করেছে সরকার।

জানা গেছে, সংশোধিত প্রকল্পটি গেল ২৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, যে ৬ কারণে প্রকল্পটি সংশোধন করা হয়েছে, সেগুলো হচ্ছে-

১। মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার কুতুবপুর মৌজার ৬০ একর জমির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সেখানে পূর্বের বরাদ্দ করা ১০০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ব্যায়ে ৬০ একর জমি কেনা সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন হবে ১১৫ কোটি ৪০ লাখ ১১ হাজার টাকা।

২। শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার নাওডোবা মৌজারও ৬০ একর জমির পরিবর্তে কিছুটা কমিয়ে ৫৯ কোটি ৭৩ একর জমির দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৮৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা। কিন্তু বর্তমানে জমির মূল্য বাড়াতে নাওডোবা মৌজার ৫৯ দশমিক ৭৩ একর জমি কেনার জন্য ১৩৮ কোটি ২৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।

৩। প্রকল্পের কিছু অংশের সংখ্যা, পরিমাণ ও ব্যয় কমানো এবং কিছু বৃদ্ধি করা হয়েছে।

৪। প্রকল্পের প্রশাসনিক ব্যয়, জ্বালানি, মুদ্রণ ও মনোহারি, সম্মানী, কম্পিউটার সামগ্রী এবং মেরামত ও সংরক্ষণ খাতে ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।

৫। প্রকল্পের বেতন-ভাতা, মাটি পরীক্ষা, অভ্যন্তরীণ ভ্রমণ ব্যয়, নিরাপত্তা সেবা সংগ্রহ, পরামর্শক সেবা, ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধন, জিপ কেনা বাবদ ব্যয় কমিয়ে আনার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া সীমানা প্রাচীর খাতে ব্যয় অপরিবর্তিত থাকলেও পরিমাণ ১ হাজার ৩৫১ দশমিক ৪৮ রানিং মিটার কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

৫। ভূমি উন্নয়নের পরিমাণ ৯ হাজার ১৬০৭ ঘনমিটার বৃদ্ধি এবং এ খাতে ১৪ দশমিক ৭৪ কোটি টাকা ব্যয় কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এর বাইরেও প্রকল্পের অধীনে নতুন আইটেম যেমন সেমিপাকা আনসার ব্যারাক নির্মাণ করা হবে। আবাসিক টেলিফোন নগদায়ন ভাতা, ভ্রমণ ভাতা, ও অন্যান্য ভাতা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং প্রকল্পের মেয়াদ ১ বছর বৃদ্ধি করে ২০২২ সাল লক্ষ্য নির্ধারিত হয়েছে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডকে। এটি চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এদিকে পরিকল্পনা কমিশন মনে করছে ‘শেখ হাসিনা তাঁতপল্লী স্থাপন’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিপুল সংখ্যক জনগণের কর্মসংস্থান হবে। তাঁত বস্ত্রের উৎপাদনও অনেক বৃদ্ধি পাবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, প্রকল্পটি দেশের তাঁতীদের উন্নয়নে গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনেক আগ্রহের প্রকল্প এটি। সেসব কারণেই প্রকল্পের কাজে কিছু সংযোজন বিয়োজন করে সংশোধিতভাবে একনেকের অনুমোদন পেয়েছে।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন