ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজধানীতে ঠেকানো যাচ্ছে না এডিস মশার বিস্তার

রাজধানীতে কোনভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার বিস্তার। এডিসের বংশবিস্তারের প্রায় ৪০ ভাগের উৎস নির্মাণাধীন সব ভবন। তবে সিটি করপোরেশন এডিসের উৎস ধ্বংসের দাবি করলেও বিশেষজ্ঞরা এতে খুব একটা সন্তুষ্ট নন।

তারা বলছেন,  এডিসের উৎস নির্মূলে লোক দেখানো অভিযানের পরিবর্তে ওধুষের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা উচিত।

জানা গেছে, উত্তর সিটির অভিজাত এলাকা গুলশান বারিধারা কিছুটা পরিচ্ছন্ন হলেও উত্তরা, রামপুরা, বাড্ডা, ভাটারা, মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ সাধারণ জনগণ।

স্থানীয়রা জানান, মশার কারণে পরিবার নিয়ে থাকা কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সন্ধ্যার পর তো একেবারেই থাকা যায় না। সিটি করপোরেশন থেকে মশার নির্মূলের যে ওষুধ দেয় তা দিয়ে কাজ হয় না। এসব এলাকার নির্মাণাধীন ভবনে প্রবেশ করলেই জমে থাকা পানিতে দেখা মিলবে এডিস মশার লার্ভা।

উত্তর সিটি করপোরেশনের উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তার দাবি করেন, নিয়মিতই চলে অভিযান, করা হয় জরিমানা। কিন্তু তবুও ব্যাপক অসচেতন সব ভবন মালিকরা।

ডিএনসিসির উপ- প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লে. কর্নেল মো. গোলাম সারোয়ার জানান, চলতি বছর মে মাস থেকে আমরা চিরুনি অভিযান পরিচালনা করেছি প্রতি মাসে। আমরা মনে করেছিলাম ডেঙ্গু হয়ত শেষ হয়ে গেছে। ফলে কিন্তু আমরা সেপ্টেম্বর মাসে কোনও রকমের স্পেশাল ড্রাইভে যায়নি।

কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার জানান, অসময়ের বৃষ্টিপাত এডিস মশার ঘনত্ব অনেক বাড়িয়েছে। নগর কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগেও বাড়ির আঙ্গিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

তবে ভবন ও যেসব এলাকায় অনেক পানি স্বল্পতা রয়েছে সেখানে প্রচুর পরিমাণে এডিস মশার ঘনত্ব পাওয়া যাচ্ছে। এই এডিস মশা সারা বছর ডেঙ্গু রোগ ছড়াবে। তাই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ব্যবস্থা নিতে হবে।

সেই সাথে ডেঙ্গু প্রতিরোধে নির্মাণাধীন ভবনে একটানা তিন দিন পানি জমিয়ে না রাখার আহ্বান জানিয়েছে দুই সিটি করপোরেশন।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন