গরুর খামারে লাভবান হওয়ায় প্রতিনিয়তয়ই মানুষ গরু খামারের দিকে ঝুঁকছে। এতে দেশে গরুর সংখ্যা বাড়লেও কমেছে ছাগলের সংখ্যা। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কৃষি শুমারি ২০১৯ এর প্রাথমিক ফলাফলে এমন তথ্য উঠে এসেছে। এতে ভেড়া, মহিষ, হাঁস, মুরগি, ও টার্কির সংখ্যাও প্রকাশ করা হয়েছে।
গতকাল রবিবার এক অনুষ্ঠানে শুমারির প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ করেছে বিবিএস। এ কৃষিশুমারি অনুযায়ী, দেশে গরুর সংখ্যা ২ কোটি ৮৪ লাখ ৮৭ হাজার ৪১৫। আর দেশে ছাগলের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৯২ লাখ ৮৭ হাজার ৪১৩।
বিগত বছর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, দেশে গরুর সংখ্যা ২ কোটি ৩৯ লাখ। আর ছাগলের সংখ্যা ২ কোটি ৫৯ লাখ। এ হিসাবে দেশে গরুর সংখ্যা বেড়েছে ৪৬ লাখ। এর বিপরীতে ছাগলের সংখ্যা কমেছে ৬৬ লাখ।
কৃষিশুমারি অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে মুরগির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ কোটি ৯২ লাখ ৬২ হাজার ৯০১ ও হাঁস ৬ কোটি ৭৫ লাখ ২৯ হাজার ২১০টি। এছাড়া ১৪ লাখ ৪৫ হাজার ৪২০টি টার্কি, ৭ লাখ ১৮ হাজার ৪১১টি মহিষ ও ৮ লাখ ৯২ হাজার ৬২৮টি ভেড়া আছে দেশে।
বিবিএসের মহাপরিচালক তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ মান্নান। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছউল আলম মন্ডল, কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব মো. রইছউল আলম মন্ডল বলেন, আমাদের জন্য এখন নির্ভরযোগ্য উপাত্ত খুবই জরুরি। নির্ভরযোগ্য উপাত্ত না থাকলে নিজেদের উন্নয়নকে আমরা বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরতে পারব না। এসডিজি বাস্তবায়নে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো নির্ভরযোগ্য উপাত্ত। কৃষি শুমারিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এলেও কিছু বিষয় বাদ পড়ে গেছে। কৃষি শুমারির প্রশ্নপত্রে ডিমকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। মাছের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু পাওয়া যাচ্ছে না। এ বিষয়গুলোকে আমাদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
আনন্দবাজার/ইউএসএস