দেশের অধিকাংশ রেললাইনের মেয়াদ অনেক আগেই পেরিয়ে গেছে। কিন্তু তবুও মেয়াদোত্তীর্ণ ঝুকিঁপূর্ণ এসকল লাইন দিয়েই চলছে ট্রেন। বিশেষজ্ঞরা জানান, মেয়াদহীন রেললাইন সংস্কারের অভাবে নিয়মিত বৃদ্ধি পাচ্ছে দুর্ঘটনা। সেই সাথে কমছে রেলের গতি।
তবে মেয়াদোত্তীর্ণ এসকল রেললাইনগুলো দ্রুত সংস্কারে উদ্যোগ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন রেলমন্ত্রী।
জানা গেছে, বর্তমানে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা জয়দেবপুর থেকে ময়মনসিংহ রুটের ৯০ কিলোমিটার রেলপথের। ৬০-৭০ বছরের পুরানো মরচে পড়া লোহার স্লিপারের উপর দিয়েই চলছে ট্রেন। কোথাও ভেঙ্গে গেছে, আবার পচে নষ্ট হয়ে গেছে কাঠের স্লিপারও।
অধিকাংশ স্থানেই নেই লাইনের জয়েন্ট ক্লিপ। এমনকি খুলে গেছে প্রয়োজনীয় নাট বল্টু। স্লিপারের সাথে লোহার পাতকে আটকের রাখার সংযোগ পয়েন্টও অনেক স্থানে বিচ্ছিন্ন। নাট না থাকায় কাঠের টুকরা ব্যবহার করা হয়েছে কোথাও কোথাও। জরাজীর্ণ লাইনের পুরোটাই বেঁকে গেছে অনেক আগেই।
স্থানীয়রা জানান, এগুলো ইস্পাতসহ নড়ছে। সবগুলো স্লিপার ভাঙ্গা, যে হুকগুলো দিয়ে স্লিপারগুলো আটকানো সেগুলোও ভাঙ্গা। ট্রেন আসলে এগুলো ১/২ ফুট বের হয়ে যায়। ফলে কয়েক বছর আগেও এই লাইনে ট্রেন চলতো ৫০-৬০ কিলোমিটার বেগে। কিন্তু বর্তমানে ঝুঁকি বিবেচনায় ৩০-৩৫ কিলোমিটার করা হয়েছে সম্প্রতি।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা জানান, মেয়াদোত্তীর্ণ রেল লাইনের কারণে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে দুর্ঘটনা। সংস্কারের উদ্যোগ না নিলে সামনে ভয়াবহ ঝুঁকিতে পড়বে রেল ব্যবস্থা।
তবে মন্ত্রী বলছেন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, পর্যায়ক্রমের দেশের সকল রেল লাইন সংস্কার করা হবে।
রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন আরও বলেন, রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আমরা কাজ করছি একসাথে। এই জন্য আমরা দুটা প্রকল্প আলাদা নিচ্ছি। আশা করছি আমরা এই বছরের মধ্যে এই প্রকল্পগুলো পেলে এই সমস্যাগুলো আর থাকবে না।
অধিকাংশ রেলসেতুও ঝুঁকিপূর্ণ বলে সম্প্রতি জানিয়েছে রেলের প্রকৌশল বিভাগ।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে